২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
আসামী  গ্রেফতার

যাত্রীকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে ইজিবাইক চালক

যাত্রীকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে ইজিবাইক চালক - সংগৃহীত

মাদারীপুরের আলোচিত দশম শ্রেণির মাদ্রাসার ছাত্রী দিপ্তী আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যার করে লাশ ইট বেঁধে পুকুরে ফেলার রাখার মামলায় ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ হোসেন খানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮। শনিবার ভোর ৫টায় নিজ বাড়ি খাগদী থেকে আটকের পর বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-৮ এর অতিরিক্ত ডিআইজি (সিও) আতিকা ইসলাম মাদারীপুর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে ১৯৯২ সালে ৭ বছরের শিশুকে গলাকেটে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন কারাভোগ করে ১৮ বছর পর ২০১১ সালে কারগার থেকে মুক্তি পায় সাজ্জাদ। সে মাদারীপুর পৌরসভার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

র‌্যাব-৮ এর প্রধান কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম বলেন, গত ১১ জুলাই মাদারীপুর শহরের বোনের বাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় দিপ্তী। শহরের ইটেরপুল ইজিবাইকযোগে চরমুগরিয়ার দিকে যাচ্ছিল দিপ্তী। ইজিবাইকে আর কোন যাত্রী না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টি থাকায় ইজি বাইক চালক সাজ্জাদ দিপ্তীকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। পরে চেতনানাশক দিয়ে দিপ্তীকে অচেতন করে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দিপ্তী অসুস্থ হয়ে পড়লে গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়। পরে গলায় ইট বেঁধে নিহতের লাশ বস্তায় ভরে সাজ্জাদের বাড়ির কাছের একটি পুকুরে ফেলে রাখে।

১৩ জুলাই নিহতের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে লাশের পড়নের পোশাক দেখে দিপ্তীর লাশ সনাক্ত করে পরিবার। ১৪ জুলাই নিহত দিপ্তীর পরিবার সদর থানায় ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি মামলা করেন। লাশ উদ্ধারের সূত্র ধরে তদন্তে নামে র‌্যাব। পরবর্তীতে ধর্ষণ ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় সে তার দোষ স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। শনিবার দুপুরে সাজ্জাদকে সদর থানায় হন্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৩ জুলাই মাদারীপুরের পূর্ব খাগদি এলাকার একটি পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে নগ্ন ও বিকৃত অবস্থায় এক কিশোরির লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরের দিন দিপ্তীর বাবা হাসপাতালে এসে লাশটি তার মেয়ে দিপ্তীর বলে নিশ্চিত করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামী করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করে। দিপ্তী সদর উপজেলার চরনাছনা মহিলা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement