২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

নিহত স্কুলছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমা - নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্মৃতি আক্তার রীমা (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের গাংধোয়ারচর গ্রামে বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্মৃতি আক্তার রীমা জেলার হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে এবং হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, স্মৃতি আক্তার রীমা পাকুন্দিয়া উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়িতে প্রায়ই বেড়াতে আসতো। এ সুবাদে একই উপজেলার পাশের চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত মঙ্গলবার বিকেলে অসুস্থ নানীকে দেখতে মায়ের সাথে নানার বাড়ি আসে রীমা। বুধবার রাত ১০টার দিকে রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ে রীমাকে জাহিদের সাথে আলাপ করতে দেখতে পান।

এ সময় জাহিদের সাথে আরও ২-৩ জন ছেলে ছিল। রীমাকে ডাক দিলে জাহিদসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে রীমাকে ঘরে নিয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়েন আঙ্গুরা খাতুন। ভোরে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় রীমাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ে একটি বরই গাছের ডালে রীমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রীমার লাশ উদ্ধার করে।

নিহত স্কুলছাত্রী রীমার মামা মোস্তফা জানান, চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ রীমাকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে তার বন্ধু একই গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে পলাশসহ আরও ২-৩ জন মিলে রীমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে বরই গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখে। বরই গাছ থেকে খানিক দূরে উত্তর পাশে ধর্ষণের আলামত হিসেবে কয়েকটি কনডম ও সেক্সুয়াল বড়ি পড়ে থাকতে দেখেছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মাসুদ আনোয়ার, পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ মফিজুর রহমান ও ওসি (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ধর্ষণ ও মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement