২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর ভোটবর্জন

-

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শান্তিপূর্নভাবে শুরু হয় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের ডুকতে না দেয়া এবং রাতে ভোটার ও এজেন্টদের বাড়ীতে গিয়ে ভয়ভীতি হামলা, বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনোর অভিযোগ এনে নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নানা অভিযোগ এনে কাজী সাইফুল ইসলাম তার নিজ বাড়ীতে ডেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোট স্থগিত ও বর্জনের ঘোষণা দেন। কাজী সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাজবাড়ী ইউপির মাজবাড়ী ভোট কেন্দ্রে ভোটরদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া উপজেলার মদাপুর ইউপিসহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ডুকতে না দেবারও অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং পুলিশেরও পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। সকালে ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই একাধিক কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের আলিউজ্জামান টিটু চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম। এর আগে কাজী সাইফুল ইসলাম সকাল ১০ টার দিকে ভোট স্থগিতের আবেদন জানিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন।

রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, তিনি কাজী সাইফুলের একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৫ম ধাপে মঙ্গলবার রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উপজেলার ৪৬টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহন শুরু হয় এবং বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত । কাজী সাইফুল ইসলাম কালুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান।

কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেন একচি কুচক্রী মহল। হামলায় তার প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে মারধর ও কয়েকজনকে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং সবশেষ গত রোববার তার প্রধান সমর্থক মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধাকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে। এ সব বিষয়ে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পান নাই এবং পুলিশের ভূমিকাও নিরপেক্ষ নয়। আজ নির্বাচন কিন্তু এখনো নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক সন্ত্রাসী স্বসস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে। রাতে তার সমর্থনকারী ও এজেন্টদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে ওই কুচক্রী মহল ওই হামলা চালায়। এ সময় ককটেল বোমার বিস্ফোরন ঘটনা হয়েছে এবং কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এ অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। 

তিনি আরো বলেন, অভিযোগে কোন প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আজ সকাল ৮টায় নির্বাচন অফিসারকে জানিয়েছেন এবং দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করা না হলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেবেন এবং এ বিষয়ে মামলাও করবেন বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ জন চেয়ারম্যান, ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন এবং ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪৬টি ।

 


আরো সংবাদ



premium cement