২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দোহারে ৭ দিনেও নিখোঁজ যুবকের হদিস মেলেনি, পরিবারের উৎকণ্ঠা বাড়ছে

-

ঢাকার দোহার উপজেলার জামালচর এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে শেখ রহিম (২৯) ওরফে সাইমনের ৭ দিনেও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সাইমন বেঁচে আছে না মরে গেছে এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের উদ্বেগ ও উৎকষ্ঠার মধ্যে দিয়ে সময় পার করতে হচ্ছে। সায়মনের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত ১১ জুন প্রতিদিনের মতো সায়মন তার নিজকক্ষে ঘুমাতে যায়। সময় মতো ঘুম থেকে না উঠায় তার মা ছেলেকে ডাকতে গিয়ে বিছানার চাঁদর ও বালিশ রক্তমাখা অবস্থায় দেখতে পেলেও ছেলেকে পাওয়া যায়নি। বিছানার উপর ছিল একটি চিরকুট। চিরকুটে সায়মনের বড় ভাই শাহীন ওরফে শানুর উদ্দেশ্যে লেখা রয়েছে -‘শানু তোর ভাইকে নিয়ে গেলাম। লাশটা খোঁজাখুঁজির চেষ্টা করিস না, লাভ নাই। সালামের লাশ পাওয়া যায় নাই। তুই বেশি বাড়াবাড়ি করবি না। মসজিদের জমিজমা যেভাবে আছে থাক। বাড়াবাড়ির ফল কী বুঝ। রহিম ভাল ছেলে কিন্তু আমাদের পথের কাটা সরিয়ে দিলাম। গায়েবানা জানাযা পড়াইশ।’ 

পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রক্তমাখা চাদঁর, বালিশ ও চিরকুটটি থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার পরের দিন সায়মনের বড় ভাই শানু পরের দিন দোহার থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। এ ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ এ ঘটনার কুলকিনারা করতে না পেরে ছেলের সন্ধানে মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা অস্থিরতার মধ্যে সময় পার করছেন।

সাইমনের বড় ভাই শানু বলেন, আমার ভাইয়ের ৭ দিন ধরে কোন খোঁজ খবর নেই। বিছানা রক্তমাখা কিন্তু আমার ভাই নেই। কে কী বলল সেটি আমাদের দেখার বিষয় না। আমার ভাইকে না পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি তারা যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

তিনি আরও জানান, আমরা মানসিকভাবে কী অবস্থার মধ্যে আছি সেটা বলে বুঝাতে পারব না। তবে চিরকুটে বিষয়ে জানতে চাইলে শানু জানান, মসজিদের জমিজমা নিয়ে আমাদের সাথে কোন বিরোধ নেই। সভাপতি ও সেক্রেটারীর সাথে সবসময়ই উঠাবসা আছে। সালামের লাশের ব্যাপারে তিনি বলেন, শুনেছি ৩০ বছর আগে আমাদের গ্রামেরই সালাম নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছিল পরবর্তীতে তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিষয়টি আমাদের কাছে সন্দেহ মনে হচ্ছে। যে কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল রক্তমাখা চাঁদর ও বালিশ জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছি। মানুষের রক্ত না অন্যকিছুর রক্ত তা পরীক্ষার অনুমতি চাওয়া হয়েছে তা পেলেই পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া তার ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে দোহার সার্কেল এএসপি জহিরুল ইসলাম ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সায়মনের স্বজনদের সাথে দেখা করেছেন বলেও জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে নিহত ৪

সকল