এ কেমন শত্রুতা! বিষ ঢেলে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন
- মো: আল আমিন, কিশোরগঞ্জ
- ১৬ জুন ২০১৯, ১৬:৫৫
জমি নিয়ে মারামারির জেরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে একটি মৎস খামারে বিষ ঢেলে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানবরাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মৎসখামারের এক অংশীদার শোকগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুন (মঙ্গলবার) রাতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গ্রামের শুকুর মামুদের ছেলে সাইদুর রহমান ও আব্দুল হামিদের ছেলে নবাব আলীর মধ্যে মারামারি হয়। মারামারির পরের দিন নবাব আলী পক্ষের লোকজন সাইদুর রহমানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মতিউর রহমানের মৎস খামারে হামলা চালিয়ে খামারের জাল, মুলি বাঁশের খুঁটি ও খামারে বেড়া দেয়ার জিআই তার লুট করে নিয়ে যায়।
পরে, শনিবার রাত ৮টার দিকে নবাব আলীর ছোট ভাই দুলাল, ছেলে মোশাররফ ও ভাগ্নে জামালের নেতৃত্বে ১০-১২জন এসে মৎস খামারে কীটনাশকের বেশ কয়েকটি প্যাকেট ঢেলে দেয়। মৎস খামারির চাচাতো ভাই নূরুল আমিনসহ গ্রামের কয়েকজন বিষয়টি দেখে ফেললে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার আধা ঘন্টা পরেই মাছে মড়ক ধরা শুরু হয়।
রোববার সকালে উজানবরাটিয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারের পানিতে হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে রয়েছে। মরা মাছের দুর্গন্ধের ভিতরেও গ্রামের শত শত লোক খামারপাড়ে এসে ভিড় করছেন। খবর পেয়ে করিমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরা মাছ ও ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেন।
মৎসখামারটির মালিক মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার গরীব চাচা বিল্লাল মিয়াকে (৫৫) নিয়ে খামারটি গড়ে তুলেছিলাম। আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে শত্রুতার জের ধরে নবাব আলী আমাদেরকে পথে বসিয়ে দিলো। আমার চাচা মাছের মড়ক দেখে পানিতে নেমেছিলেন, শোকে ও বিষক্রিয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
মতিউর বলেন, খামারে রুই, কাতলা, মৃগেল, স্বরপুঁটি, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেড়লাখ পোনা ছেড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি মাছের মূল্য গড়ে ৮ থেকে ১০ টাকা করে হতো। বর্তমানে এর বাজার মূল্য কম করে হলেও ৮লাখ টাকা হতো বলে জানান তিনি।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যপারে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা