১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

আ'লীগ নেতার বাড়িতে অপর গ্রুপের হামলায় সভাপতিসহ আহত ৫

- ফাইল ছবি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ফুলদী গ্রামে ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওমী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ তাঁতীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে ৩০/৩৫ জনের একদল দুস্কুতকারী হামলা চালিয়ে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়াডের্র সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড আ‘লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ তাঁতী(৬৭), তার স্ত্রী নূরুন নাহার(৬০) ও কন্যা রাফেজা বেগম(৩২) আহত করে। আহতদের মধ্যে তিনজন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ সময় হামলাকারীরা বাড়িতে ভাঙচুর করে স্বর্ণের গহনা লুট করেছে। হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয় ক্ষুব্ধ জনতা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানীরচর গ্রামে গত সোমবার (১৩ মে) প্রতিপক্ষের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ আরমান হোসেন(২২) হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী সাইদুর রহমান তার আত্মীয় রশিদ তাঁতীর বাড়িতে অবস্থান করছে এমন উড়ো খবরের ভিত্তিতে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন শনিবার রাতে এ হামলা করে।

এ সময় হামলাকারীদের একজন ইসামানীরচর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে পুলিশ বাহিনীর সদস্য তপন মিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: হাফিজুর রহমান মানিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের মধ্যস্থতায় পরে আবদুর রশিদ তাঁতীর জিম্মায় পুলিশ কনস্টেবল তপনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আগুনে পোড়া একটিসহ হামলাকারীদের দুটি মোটর সাইকেল পুলিশ জব্দ করেছে।

আবদুর রশিদ তাঁতী নিজের জিম্মায় তপনকে ছাড়িয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা গ্রহণের কথা অস্বীকার করে জানান, অপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন থানায় ।

ছাড়া পাওয়া তপনের একজন আত্মীয় জানান, পুলিশ বাহিনীর সদস্য তপন মিয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রশিদ তাঁতীর জিম্মায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে ছাড়া পেয়েছে। স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি মাধ্যমে রশিদ তাঁতী টাকা গ্রহণ করেন বলেও তিনি জানান। তবে, টাকা বিনিময়ের বিষয়টি রশিদ তাঁতী অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি শিপ ইয়ার্ডের ভাঙ্গারী ব্যবসার হিস্যা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে।

দীর্ঘদিন যাবত আতাউর গ্রুপের লোকজন ব্যবসা ও নিজেদের অধিপত্য নিয়ে এলাকায় ছিল। সম্প্রতি আতাউর গ্রুপের লোকজন ইসমানীরচর এলাকার জহিরুল ইসলাম ফরাজীর কাছে দাবী করা চাঁদা না পেয়ে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর করে। চাঁদাবাজী মামলায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে তাদের প্রতিপক্ষ হারুন-ইব্রাহিমের নেতৃত্বে শিপ ইয়ার্ডের ব্যবসার হিস্যা ও স্থানীয় আধিপত্য দখলে নেয়।

গত সপ্তাহে আতাউর গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

সম্প্রতি হারুন-ইব্রাহিম গ্রুপের লোকজন আতাউর গ্রুপের লোকের একাধিক বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় এ সময় জসীমউদ্দিন মিয়ার ছেলে আরমান ডান হাতে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুটি গ্রুপই আ’লীগের কর্মী সমর্থকদের।


আরো সংবাদ



premium cement