২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মামার বাড়ি বেড়াতে এসে ৬ বছরের শিশু ধর্ষিত

মামার বাড়ি বেড়াতে এসে ৬ বছরের শিশু ধর্ষিত - প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬ বছরে এক শিশু শিক্ষার্থী। সে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী মডার্ন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এই ঘটনার পর শিশুটিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকের মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ধর্ষক মিল্টন ফকির পলাতক রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানান, ১০ দিন আগে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ভাইবাড়ি কুশলী মধ্যপাড়া বেড়াতে যাই। বৃহস্পতিবার ইফতার শেষে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যাই। এসময় আমার মেয়ে বাড়ির উঠানে খেলছিল। এসময় বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে আমার সম্পর্কে চাচাত ভাই হাসেম ফকিরের ছেলে মিল্টন ফকির আমার মেয়েকে ডেকে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।

যাওয়ার সময় মেয়েকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায় সে। আমি পানি নিয়ে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পায়ে ডাকাডাকি করি। তখন আমার মেয়ে ওই কক্ষ থেকে কান্নাকাটি করতে করতে বেরিয়ে আসে। এবং ঘটনাটি খুলে বলে।

ভূক্তভোগী শিশুর মামা আশিক ফকির বলেন, আমার মা একা বাড়িতে থাকেন। আমরা কেউই বাড়িতে থাকি না। ১০ দিন আগে আমার বোন তার মেয়েকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার আমার ভাগ্নিকে বাড়িতে একা পেয়ে মিল্টন কৌশলে ডেকে নিয়ে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভাগ্নিকে হাসপাতালে নেয়ার সময় ধর্ষকের পরিবারের লোকজন আমার বোনকে বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে।

পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ভাগ্নিকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আমরা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি।

আশিক অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো ডাক্তার আমার ভাগ্নিকে চিকিৎসা দেয়নি।

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিক বলেন, টুঙ্গিপাড়ার ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের আলামত নিয়ে ভর্তি হয়েছে শুনেছি। তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে।

এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত ধর্ষক মিল্টন ফকিরের মা ও বোনসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষক মিল্টন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement

সকল