বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয় এক কিশোরীকে। পরে অভিযুক্ত প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মহত্যা করেছেন সেই কিশোরী। বৃহস্পতিবার নিহত কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কিশোরীর নাম মালিহা (১৭)। এদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক মোঃ রাকিবকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনিতে।

এদিকে আটকের পর পুলিশের কাছে মালিহাকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে রাকিব। তবে ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, মালিহাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাশগারী এলাকার কানুরগাঁও গ্রামের মানিক বেপারী মেয়ে মালিহাসহ নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পৌর এলাকার পাঙ্গাশীয়া গ্রামের নুর হোসেন বেপারীর বাসায় ভাড়া থাকেন। একপর্যায়ে পৌর এলাকার পাঙ্গাশীয়া গ্রামের বেলায়েত সরদারের বখাটে ছেলে মোঃ রাকিব সরদারের সঙ্গে মালিহার প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক হয়।

পরে কিশোরী মালিহাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষণ করে আসছিল রাকিব। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে ওই কিশোরীকে বাসায় একা পেয়ে আবারো ধর্ষণ করে লম্পট রাকিব। এ ঘটনা দেখতে পেয়ে মালিহার বাসার লোকজন ধর্ষক রাকিবকে হাতেনাতে আটক করে।

এ ঘটনার পর মালিহাকে বিয়ে করার জন্য রাকিবকে চাপ প্রয়োগ করে কিশোরীর পরিবার। কিন্তু ওই বখাটে রাকিব কিশোরী মালিহাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। একপর্যায়ে বখাটে রাকিবকে বুধবার রাতেই তার বন্ধুরা মালিহার বাসা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিকের ছেলে মাহমুদুল হাসান রিজন কিশোরী মালিহাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেথতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে থানা পুলিশ মালিহার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

তবে নিহত মালিহার পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ধর্ষক রাকিবকে আটক করার পর মালিহাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।

নিহত মালিহার নানু ফাতেমা ও খালা নাসরিন অভিযোগ করেন, আমাদের মালিহাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষণ করে আসছিল রাকিব। কিন্তু বিয়ে করতে চাপ দেয়ায় রাকিব মালিহাকে হত্যা করেছেন। আমরা তার ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে কিশোরী মালিহার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি। নিহত কিশোরীর অভিযুক্ত প্রেমিক রাকিবকে আটক করা হয়েছে। মালিহাকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে রাকিব। তবে এটা হত্যা না কি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পরে বলা যাবে।