চাঁদা চেয়ে পিটুনি খেলেন যুবলীগ নেতা
- সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৯ মে ২০১৯, ১৯:৫৪
তামাক কোম্পানী জাপান ট্যোবাকো কর্মকর্তাদের নিকট চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়েছে তামাক কোম্পানীর লোকজন ও স্থানীয় কৃষকেরা। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম সুভাষ রাজবংশী। তিনি সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এদিকে এই ঘটনার পর পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের বড় পয়লা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জাপান তামাক ট্যোবাকো কোম্পানীর বরাইদ এলাকার ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ ঈনাম আলী নয়াদিগন্ত অনলাইনকে জানান, সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ রাজবংশী বিভিন্ন সময়ে তার কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি করে আসছিল। সম্প্রতি অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মোবাইল ফোনে তাকে স্থানীয় যুবলীগ কার্যালয়ে যেতে বলে এবং ‘কিছু খরচাপাতি’ দিতে বলে। এমনকি তিনি যুবলীগ কার্যালয়ে না গেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। পরে যুবলীগ নেতা সুভাষ রাজবংশী তামাক কোম্পানীর লোকজনকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জাপান তামাক ট্যোবাকো কোম্পানীর বরাইদ এলাকায় কর্মরত কর্মী নাঈম হোসেন জানান, চাঁদা না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ নেতা সুভাষ রাজবংশী, সোহেল মিয়া ও রফিকুল ইসলাম মাঠু তার লোকজন নিয়ে তামাক বিক্রয় কেন্দ্রে এসে তাকে মারধর করেন। পরে তিনিসহ আশেপাশের কৃষকেরা সুভাষকে ধাওয়া ও মারধর করে সরিয়ে দেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়ায় তারা আইনের আশ্রয় নেননি বলেও জানান।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ রাজবংশী জানান, জাপান তামাক ট্যোবাকো কোম্পানীর বরাইদ এলাকার ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ ঈনাম আলীকে ইফতার করার জন্য এবং চা খাওয়ার জন্য তাদের অফিসে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বিষয়টি তিনি ‘ভিন্নভাবে’ বুঝেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, যুবলীগ নেতার চাঁদা দাবি ও এর প্রেক্ষিতে যুবলীগ নেতাকে মারধরের বিষয়টি তামাক কোম্পানীর লোকজন মোবাইল ফোনে জানালে তিনি সেখানে যান। কোম্পানীর কর্মকর্তাদের সাথে যুবলীগ নেতার ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেলে একত্রে বসে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, চাঁদা দাবি বা যুবলীগ নেতাকে মারধর করার থানায় কেউ লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা