চলন্ত বাসে নার্সকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে, থানায় মামলা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়ার বাবা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মঙ্গলবার রাতে বাজিতপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় স্বর্ণলতা বাসের চালক নূরুজ্জামান, হেলপার লালন মিয়াসহ ৪ জনকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। বাজিতপুর থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ময়নাতদন্তের পর রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ঢাকা এয়ারপোর্ট কাউন্টার থেকে কটিয়াদী হয়ে বাজিতপুরের পিরিজপুরগামী স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৪)। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।

বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসের চালক, হেলপারসহ অন্যরা মেয়েটিকে একা পেয়ে বাসের ভেতরে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে তাকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা।

খবর পেয়ে কটিয়াদী থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে বাসচালক নূরুজ্জামান ও হেলপার লালন মিয়াসহ পাঁচজনকে আটক করে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ড চেয়ে বুধবার কিশোরগঞ্জ আদালতে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।