২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নারায়ণগঞ্জের এসপি হারুন ‘বাংলার সিংহাম’!

এসপি হারুনকে নিয়ে ব্যানার ও ইনসেটে এসপি হারুন - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে ‘বাংলার সিংহাম’ উপাধি দিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে। তবে এটি কোনো সাধারণ মুভির নায়কের সাথে তুলনা নয়, বরং বলিউডের বিখ্যাত ব্লকব্লাস্টার অ্যাকশন মুভি ‘সিংহাম’-এ পুলিশের বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় করা নায়ক অজয় দেবগনের কর্মকাণ্ডের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

২০১১ সালের পরিচালক রোহিত শেঠির ধামাকাদার ছবিগুলোর মধ্যে ‘সিংহাম’ একটি। কিং অব অ্যাকশন, যার একাধিক ভার্সনে মুক্তি পেয়েছে। তেলেগু ছবিতে সিংহামকে পার্ট-২ ও পার্ট-৩ মুক্তি পায়। এছাড়াও বলিউডেও একই ভাবে ছিল পার্ট-২ পর্যন্ত। মুভিগুলো এখন পর্যন্ত কয়েকশ কোটি ভারতীয় ও বিদেশী টাকা উপার্জন করেছে। মুভিটির জনপ্রিয় এতো যে ভারতের বাইরে বাংলাদেশেও এ প্রচুর দর্শক রয়েছে।

আর সেই জনপ্রিয় অ্যাকশন মুভির সাথে তুলনা করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে, যিনি ইতোমধ্যে মাদক, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু চাঁদাবাজসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে মুভির মতোই অ্যাকশন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন অপরাধের বিরুদ্ধে সিংহামের মতো ব্লক রেইড দিয়ে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনছেন।
মুভিতে যেমন খলনায়কদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে নায়ক অজয় দেবগন সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন, তেমনি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন এসপি হারুন। এ নিয়ে ইতোমধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কারো কথাই তিনি শুনেনি। বরং অপরাধের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস, মাদক, উগ্রবাদ, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজা, জুয়াড়ি, তেলচোর, হকার উচ্ছেদ, অবৈধ দখলদার, বালুসন্ত্রাস, মাদকের গডফাদারসহ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এমনকি পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বিপথগামী ও দায়িত্ব অবহেলাকারীদেরও পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেন না। ছোট থেকে ছোট ইস্যুতেও সাময়িক বরখাস্ত কিংবা বদলী করে দিচ্ছেন। তারপরও নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এ কাছে প্রসংশায় এ ব্যনার টানানো হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের চাষাঢ়া গোল চত্বরের পূর্ব পাশে খাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় লেখা আছে ‘বাংলার সিংহাম’, - প্রচারে নারায়ণগঞ্জবাসী। তবে এ ব্যানার কার পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছে তা জানা যায়নি।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এসপি হারুন অর রশিদের অ্যাকশনের ফলে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজা, ভূমিদুস্যরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এখন শান্তিতে ব্যবসা করা যাচ্ছে। আর সে কারণে কে বা কারা লাগিয়েছে সেটা জানা যায়নি। তবে যারাই লাগিয়েছে তারা ভালো কাজই করছে। ব্যক্তির সাথে উপাধিটাও যথাযথ হয়েছে।

খাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, কে ব্যানার লাগিয়েছে সেটা খেয়াল করি নাই। এসপি আসার পর ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযানের খবর পাই। এছাড়াও এলাকায় এখন মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সেবনকারীদের তেমন দেখা যায় না। আমরাও ভালো ভাবে ব্যবসা করতে পারছি। এ উপাধি যথাযথ হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য ও নারায়ণগঞ্জের জন্যই কাজ করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement