মাদারীপুরে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
থানায় মামলা- এস. এম. রাসেল, মাদারীপুর
- ০২ মে ২০১৯, ১২:৪২
মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: তোফায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন নির্যাতিতা শিক্ষিকা। তবে মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি সেই তোফায়েল। এদিকে মামলা করার কারণে শিক্ষিকার চাকরি ‘খেয়ে ফেলার’ হুমকি দিচ্ছেন তোফায়েল।
মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজে যান ওই শিক্ষিকা। এ সময় ওই শিক্ষিকার কয়েকটি ছবি তুলেন তোফায়েল। ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞেস করলে তোফায়েল ওই শিক্ষিকাকে পাশের আরেকটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যান। এ সময় ওই ছবির সাথে অশালীন ছবি যুক্ত করে ইন্টারেনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। পরে জোরপূর্বক ওই শিক্ষিকার পরিধেয় কাপড় খোলার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তিতে পরিধেয় বোরকা ছিঁড়ে যায়। এই ঘটনার পরে শিক্ষিকা চিৎকার শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেন।
বিষয়টি মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকে জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা শিক্ষিকা।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘আমার সাথে খারাপ কাজ করলো আবার আমাকেই চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি ওর বিচার চাই।’
তবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারি শিক্ষা অফিসার মো: তোফায়েল হোসেন। তিনি দাবি করেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে কেন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে মীমাংসাযোগ্য নয় তাই ওই শিক্ষিকা মামলা করেছেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষিকা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পরবর্তী বিষয় নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত সময়েই আসামি গ্রেফতার হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা