২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুলাভাইয়ের পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় শ্যালক খুন

আটককৃত পরীকয়া প্রেমিকা সুমি আক্তার চুমকি। (ডানে) নিহত শ্যালক সুমন - নয়া দিগন্ত

দুলাভাইয়ের পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় ছুরিকাঘাত করে নির্মম ভাবে শ্যালককে হত্যা করেছে এক দুলাভাই। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পৌলাইয়া নামক স্থানে। ঘাতক ভগ্নিপতির নাম মিজানুর রহমান। সে লাকসাম পৌর শহরের গাজীমুড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।

অন্যদিকে নিহত শ্যালকের নাম সুমন (২৬)। তিনি মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান ও তার কথিত ভাগ্নি ও প্রেমিকা সুমি আক্তার চুমকিকে (১৮) আটক করেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ঘাতক ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান (৩৪) তার স্ত্রীর সম্পর্কীয় ভাগ্নি চুমকির সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত ছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় সালিশ দরবারও হয়। এরপরেও তারা পরকীয়া প্রেমের পথ থেকে ফিরে আসেনি। সোমবার সকালে ওই পরকীয়া প্রেমিক যুগল পালিয়ে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

সংবাদ পেয়ে ভগ্নিপতি মিজানুর রহমানের শ্যালক সুমন (২৬), তার বন্ধু ইমরান (২২) ও নাজমুস শাহাদাত নাঈম (১৮) পরকীয় প্রেমিক যুগল মামা-ভাগ্নিকে লাকসাম জংশন এলাকা থেকে আটক করে সিএনজি যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পথিমধ্যে উপজেলার পৌলাইয়া নামক স্থানে এসে পৌছলে ঘাতক মিজানুর রহমান পিছনের সিটে বসা ইমরান হোসেনকে চাকু মেরে গুরুতরভাবে আহত করে।

এসময় ইমরানের আর্তচিৎকারে সিএনজিতে থাকা শ্যালক সুমন বাধা দিতে গেলে সুমনকেও এলোপাতাড়ি ভাবে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারই ভগ্নিপতি মিজানুর। পরে তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গাড়ি থেকে তাদের সকলকে আটক করে আহত অবস্থায় সুমন ও ইমরানকে লাকসামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যে শ্যালক সুমন মারা যায়। ছুরিকাঘাতে আহত ইমরানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লাকসাম থানার ওসি মনোজ কুমার দে জানান, সংবাদ পেয়ে লাকসাম থানার পুলিশ ঘাতক মিজান ও তার প্রেমিকা চুমকিকে আটক করে লাকসাম থানায় নিয়ে আসে। নিহত সুমনের লাশ কোতয়ালী থানার মাধ্যমে কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।


আরো সংবাদ



premium cement