গোপালগঞ্জে বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট
- গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা
- ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৫৫
গোপালগঞ্জ শহরে মমতাজ বেগম (৬৫) নামে এক ব্দ্ধৃাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে দস্যুরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি গোপালগঞ্জ শহরের মৌলভীপাড়ার নোয়াব আলী চৌধুরীর স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার গভীর রাতে। এ ব্যাপারে বৃদ্ধার ছেলে মাসুদ চৌধুরী গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হাচান সরদার (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃদ্ধার ছেলে মাসুদ চৌধুরী জানান, ‘ব্যবসার প্রয়োজনে আমি নারায়ণগঞ্জ ছিলাম। ঘটনার রাতে আমার মা মমতাজ বেগম ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন আমার বাবা নোয়াব আলী চৌধুরী ও বোন লাবনী চৌধুরী। গভীর রাতে পাশের ঘরে রাখা তিনটি রাম ছাগলের ডাকাডাকির শব্দ শুনে মা দরজা খুলে ঘর থেকে বেরোতেই তারা ঘরে ঢুকে মাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল নিয়ে যায়। এরপর মায়ের হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক চাবি নিয়ে আলমারি খুলে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। পাশের ঘরের বাইরে থেকে ছিটকানো লাগানো থাকায়, মায়ের চিৎকার শুনে কেউ ঘর থেকে বের হতে না পেরে ফোনে পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে মাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতারে ভর্তি করে। পরবর্তীতে মায়ের অবস্থার অবনতি ঘটলে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
পরে একই এলাকার নির্মল বৈদ্যের ছেলে শ্যামল বৈদ্য (৪০) ও মৃত নুর হোসেন সরদারের ছেলে হাচান সরদারসহ চারজনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি দস্যুতা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: আব্দুল বারেক জানান, হাচান সরদার নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা