২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্বামী প্রবাসী, নারীকে ৪ বছর ধরে ধর্ষণ : আসামির আত্মসমর্পণ

স্বামী প্রবাসী, নারীকে ৪ বছর ধরে ধর্ষণ : আসামির আত্মসমর্পণ - সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে এক নারীকে প্রতারণার মাধ্যমে চার বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামি মো. আলী হোসেন উজ্জ্বল (৪০) রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান বলেন, তারা আদালতের কাছে অভিযুক্ত আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন।

অভিযুক্ত আসামি মো. আলী হোসেন উজ্জ্বল মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দরবেশ বেপারীর ছেলে। তিনি বিবাহিত। এলাকায় তার স’মিল, রাইস মিল ও ফার্নিচারের দোকান রয়েছে।

এদিকে, নির্যাতিত ওই নারীর পরিবার ন্যায় বিচার এবং জান-মালের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তাদের অভিযোগ, উজ্জ্বল নালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় নালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মাখনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা মামলা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে বারণ করেছেন। কথা না শুনলে পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে তারা তাদেরকে হুমকি দিচ্ছেন।

উল্লখ্য, গত ১৬ এপ্রিল রাতে ওই নারী মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

নির্যাতিতা নারী মামলায় উল্লেখ করেছেন, স্বামী বিদেশ থাকায় অভিযুক্ত উজ্জ্বল ওই নারীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শারীরিক সম্পর্কও হয়। শারীরিক সম্পর্কের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চার বছর ধরে একাধিক ব্যক্তির সাথেও তাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে ওই নারীর নামে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ উঠিয়ে তাকে দিতে বাধ্য করেন। মঙ্গলবার দুপুরে এক বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রথমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন উজ্জ্বল। পরে তার মেয়েকে এনে ধর্ষণ করতে চাইলে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। এসময় অভিযুক্ত উজ্জ্বল তার নিজের মোবাইল ফোন ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম বলেন, উজ্জ্বলের অপকর্মে সহায়তার অভিযোগে অভিযুক্ত আরেক আসামি ওই বাড়ির মালিক মনিরা বেগম মনোয়ারাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান বলেন, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় মেডিকেল রিপোর্ট পাঠানো হবে।

মাদরাসাছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা
গলাচিপা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
গলাচিপায় মুরাদনগর দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে এক যুবক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে। এ ব্যাপারে মেয়ের মা নুপুর ঐ রাতেই গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। গলাচিপা থানা পুলিশ ঐ রাতেই একবার এবং রোববার দুপুরে পুলিশের আরো একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মোস্তফা খন্দকারের মেয়ে শনিবার সন্ধ্যার সময় বাড়িতে পড়ার টেবিলে পড়তে বসে। মেয়ের মা নুপুর বেগম বাড়ীর অন্য ঘরে গেলে ঐ ফাকে জিসান (২০) নামের এক যুবক ঘরের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে । জিসান ঘরের বাহিরে নেবার সময় মেয়েটি ডাকচিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে যুবকটি পালিয়ে যায়। তখন রাত সাড়ে ৭টা বাজে। এ ঘটনা শোনার পর এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে যায় বলে মেয়ের মা নুপুর বেগম জানান।

তিনি আরো জানান, জিসানের গ্রামের বাড়ি চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে । সে কালিকাপুর গ্রামের ফুফা খলিলুর রহমান মৃধার বাড়িতে থাকত।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আকতার মোর্শেদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement