২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাঙ্গাইলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ : ৩ জনের স্বীকারোক্তি, ৩ জন রিমান্ডে

ধর্ষণ
আটক ছয় ধর্ষক - ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল শহরের ডিসি লেকের পাড়ে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। তারা ওই নারীকে শহরের একাধিক স্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ভোরে এ ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বাকি তিনজনকে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে পৌর এলাকার চরজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- শহরের কোদালিয়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে ইউসুফ, আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন, ফজলু মিয়ার ছেলে মফিজ, রকিবুল ইসলামের ছেলে তানজিরুল ইসলাম তাছিন, দেওলার আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও বিশ্বাস বেতকার বাদশা মিয়ার ছেলে ইমন।

পুলিশ জানায়, ওই নারী মির্জাপুরের গোড়াইয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার স্বামী ওই এলাকায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। তাদের গত ১০ মাস আগে বিয়ে হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ওই নারী তার স্বামীকে নিয়ে কালিহাতীর পিত্রালয় থেকে মির্জাপুর কর্মস্থলে ফিরছিলেন।

কালিহাতী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তারা রাত ১০টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসটার্মিনালে এসে নামেন। এ সময় তিন বখাটে ওই নারীর স্বামীকে ডেকে দূরে নিয়ে বেদম মারপিট করে আটকে রাখে। অন্যদিকে দলের কয়েকজন ওই নারীকে জোরপূর্বক লেকের পাড়ে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরে তারা ওই নারীকে অপর বখাটেদের হাতে তুলে দেয়। তারা তাকে কোদালিয়া এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই নারীর স্বামী রাত ১২টার দিকে বখাটেদের কবল থেকে কৌশলে পালিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় গিয়ে ওসির কাছে ঘটনা খুলে বলেন। পরে পুলিশের চারটি দল বিভক্ত হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নারীটিকে উদ্ধারসহ ধর্ষণের সাথে জড়িত অভিযোগে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ইউসুফ, রবিন ও মফিজ ধষর্ণের কথা স্বীকার করেছে। উজ্জল ও হাসান নামে তাদের দুইজন সহযোগীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ন চন্দ্র সাহা জানান, ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা: জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গণধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে দুপুরে ধর্ষিত ওই নারীর স্বামী বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত ছয়জন ও পলাতক উজ্জল ও হাসানসহ মোট আটজনকে আসামী করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলেল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে তাদের মধ্য থেকে তিনজন সন্ধ্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা হচ্ছে ইউসুফ, রবিউল ইসলাম রবিন ও জাহিদুল ইসলাম। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার সরকার। অপর তিন আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ধর্ষিত নারী ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে আদালতে একই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

সকল