২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা : লাশ উদ্ধার

সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সরকার - সংগৃহীত

সাভারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হুমায়ুন কবির সরকারকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভারী বস্তু দিয়ে বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয় ধলেশ্বরী নদীতে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে নদীতে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালানোর পরও মিলছিল না লাশের খোঁজ। টানা তিন দিন অভিযানের পর হঠাৎ করেই ধলেশ্বরী নদীতে ভেসে ওঠে হুমায়ুন কবিরের লাশ।

রোববার সকালে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীতে হুমায়ুন কবির সরকারের লাশ ভেসে উঠতে দেখা যায়। এরপর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা লাশটি উদ্ধার করে। নিহত হুমায়ুন কবির সরকার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। তিনি রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।

নিহত হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় আমিনুল, পারভেজ, আলম, আলমগীর, শুকুর ও হান্নান হুমায়ুন কবিরকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁকে স্থানীয় মাছবাজারে নিয়ে ১০ থেকে ১২ জন মিলে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

এ সময় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ঝাঁপ দেন হুমায়ুন কবির। এরপর সন্ত্রাসীরা ট্রলারে করে নদীতে নেমে তাঁকে কুপিয়ে ও টেঁটা দিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভারী বস্তুর সঙ্গে বেঁধে ডুবিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করা হলে গত শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত নৌকার মাঝি ও তাঁর সহকারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তারপর থেকেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হুমায়ুন কবিরের লাশের সন্ধানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তল্লাশি অভিযান চালায়।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে তাঁর ভাই বাদী হয়েছে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরো পড়ুন : গাজীপুরে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা নারীর লাশ উদ্ধার, পুত্রবধুসহ আটক ৩
গাজীপুর সংবাদদাতা, (১৩ এপ্রিল ২০১৯)

গাজীপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর শুক্রবার বিকেলে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের পুত্রবধূ ও তার দুই মামাকে আটক করা হয়েছে। নিহত নারীর নাম আলেয়া বেগম (৪৯)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গজারিয়া পাড়া এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী জসিম উদ্দিন ও স্বজনরা জানান, গত ৯ এপ্রিল সকালে গাভীকে ঘাস খাওয়াতে বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে নিখোঁজ হয় আলেয়া। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে গাভীটি মাঠেই বাঁধা ছিল।

এ ব্যাপারে পরদিন গাজীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়। শুক্রবার বিকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের পুত্রবধূ ও তার ২ মামাকে আটক করেছে র‌্যাব।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্র ধর জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরেই আলেয়াকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement