১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পান বরজে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি - সংগৃহীত

বাড়ির পাশে পানের বরজের কাছে ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী স্থানীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামে। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম ইউনুস আলী মিয়া ওরফে ইনলোচ (৫০)। সে বেতেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও তিন সন্তানের জনক।

ভূক্তোভোগী শিক্ষার্থীর চাচি বলেন, শিশুটির পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। বাবা ভ্যান চালায়। কিছুদিন আগে সে বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে যায়। সেখানে পানের বরজের পাশে আগে থেকে কাজ করছিলেন ইনলোস নামে এক ব্যক্তি। পূর্ব পরিচিত ওই ব্যক্তিকে ওই শিশুটি চাচা বলে ডাকে।

এ সময় ঘাস দেয়ার কথা বলে পানের বরজের মধ্যে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ইনলোস। এ ঘটনা কাউকে বললে ওই স্কুলছাত্রীকে ও তার পরিবারের সবাইকে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয় সে। এ কারণে শিশুটি বিষয়টি কাউকে বলে নাই।
তিনি আরো বলেন, চারদিন ধরে শিশুটির মা ও ভাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। মা ও ভাইকে কোথায়ও না পেয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করছিলো। কান্নাকাটির কারণ জানতে চাইলে শিশুটি সবকিছু খুলে বলে।

তিনি বলেন, বুধবার শিশুটির বিদ্যালয়ে গিয়ে স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। মেয়েটি খুব গরীব, অসহায়। তার বিয়ে ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে পুলিশকে জানানো হয়নি।

এদিকে বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত ধর্ষকের ভাতিজা আবদুর রহিম মিয়া বলেন, ‘আমি পাটকলের গাড়ি চালাই। সারাদিন প্রায় বাইরে বাইরে থাকি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।’

জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে এক অভিভাবক আমার কাছে নিয়ে এসেছিলো। ওর মা অনেকটা ভারসাম্যহীন। আমি তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এছাড়া সহায়তা করার জন্য স্থানীয় দু’জন সাংবাদিককে অনুরোধ করেছি।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী সরদার বলেন, আমি এই বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, আপনার কাছেই বিষয়টি প্রথম জানতে পারলাম। শিশু ধর্ষণের বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করে নাই। বিষয়টি আমি অবগত নয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাকে ধর্ষণ
আদালত প্রতিবেদক, (২০ মার্চ ২০১৯)

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মাই টিভির স্টাফ রিপোর্টার আবু সাঈদ অপুর রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আশেদ ইমানের আদালতে আসামিকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্য দিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল করে জামিন দেয়ার আবেদন করে। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এ নির্দেশ দেন। গত ১০ মার্চ অপুকে গ্রেফতার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

মামলার বাদি তার আরজিতে উল্লেখ করেছেন, আবু সাঈদ অপু তার পূর্বপরিচিত। বিয়ের প্রলোভন দেয়ায় হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্টে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমরা চার বছর আমরা বসবাস করছি। এ সময় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করত অপু। আমি রাজি না হলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। একপর্যায়ে অপু বাসা থেকে চলে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতে থাকে। গত ৬ মার্চ আমার বাসায় এসে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। এরপর সে পালিয়ে যায়। পরে গত ১০ মার্চ বাদি হয়ে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় এ মামলা করি।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, বেড়েছে মেয়াদ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূস কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রমিজ খানের ইন্তেকাল দরিদ্রতম দেশগুলোর উন্নয়ন ঐতিহাসিক মাত্রায় বিপরীতমুখী : বিশ্ব ব্যাংক ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫ দেশকে অপশাসন মুক্ত করতে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে : ড. রেজাউল করিম ইরানের হামলার জবাব দেয়া হবে : ইসরাইলের সেনা প্রধান সাভারে দর্জির দোকানে এসি বিস্ফোরণ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ইরান-ইসরাইলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মোড়, এখন যা হবে

সকল