১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

না’গঞ্জে মাদকবিরোধী সভায় হামলা : নিহত ১

না’গঞ্জে মাদকবিরোধী সভায় হামলা : নিহত ১
নিহত আরজু বেগমের লাশ নিয়ে স্বজনদের আহজারি (বামে)। অ্যাডভোকেট হামিদা ওরফে লিজাসহ আটককৃত ৫জন (ডানে) - নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজারে মাদক বিরোধী সভা চলাকালে আরজু বেগম(৪৫) নামের এক মহিলাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি দক্ষিণ র‌্যালি বাগানের মোঃ আক্তারের স্ত্রী ও মাদক নির্মূল কমিটির সদস্য।

পরে তার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে টানবাজার দক্ষিণ র‌্যালি বাগানে এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় সেখানে মাদকবিরোধী সভা চলছিল।

আরজু বেগমকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে তার পরিবার থেকে। এই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ অ্যাডভোকেট হামিদা ওরফে লিজা, তার বোন অ্যাড. আসমা, হোসনা ও সরবানুসহ ৫জনকে আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, পূর্বে র‌্যালী বাগান এলাকাটি ছিল মাদকের হাট। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি মাদক নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির একজন সদস্য হলেন আরজু বেগম। ইতোপূর্বে কমিটির তৎপরতায় এখান থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিতাড়িত, গ্রেফতার ও অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, এখানের মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়িয়ে আনার কাজটিই করে থাকেন অ্যাড. হামিদা ওরফে লিজা ও তার বোন অ্যাড. আসমা। মূলত এ নিয়েই মাদক নির্মূল কমিটির সাথে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিলো।

এর জের ধরে শুক্রবার মাদক নির্মূল কমিটির সভায় তারা হামলা চালায়। এসময় হামলাকারী হামিদা ওরফে লিজা তার বোন অ্যাড. আসমা, হোসনা, সরবানুসহ তাদের লোকজন আরজু বেগমকে আটকে গায়ে পানি ঢেলে দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুইপক্ষের মারামারির ঘটনায় আরজু বেগম নামে একজন নারী বৈদ্যুতিক শকে নিহত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আরজুকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, এটি হত্যাকান্ড নাকি দুর্ঘটনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে বলা যাবে।

আরো পড়ুন : মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলে সুযোগ দেয়া হবে : আইজিপি
ময়মনসিংহ অফিস, (০৪ মার্চ ২০১৯)

পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, মাদক ছেড়ে কেউ যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, তাহলে তাদের সুযোগ দেয়া হবে। আর মাদক ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের হুঁশিয়ারী দেন আইজিপি।

তিনি বলেন, এখনো জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারেও আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।

আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যেভাবে যুদ্ধ চলছে, তা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। মাদক ব্যবসায়ী, গডফাদার ও মাদকের সাথে সম্পৃক্তদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ শহরের সার্কিট হাউস রোডে পুলিশ অফিসার্স মেসসহ ৯টি স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে গত একবছরেরও বেশি সময় ধরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই কক্সবাজারে ১২০ জনের বেশি মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা সেখানে আহবান জানিয়েছে, কেউ যদি মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে আসতে চায়, আমরা সেই সুযোগ দিয়েছি।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের মতো আরো কয়েকটি জেলায় মাদক ব্যবসায়ী, গডফাদার ও মাদকের সাথে সম্পৃক্তরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাচ্ছেন, তাদেরকে আমরা সুযোগ দিবো।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল