২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মনোহরদীতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে পুলিশে সোপর্দ

ধর্ষণ
শরীফ হোসেন - ছবি : নয়া দিগন্ত

নরসিংদীর মনোহরদীতে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে শরীফ হোসেন (৩৭) নামের লম্পট বাবাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

শরীফ হোসেন উপজেলার একদুয়ারিয়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র এবং পেশায় একজন ভ্যানচালক।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার একদুয়ারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং এ ঘটনায় ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ধর্ষিতা ওই কিশোরীর মা সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে তিনি শরীফের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই তারা গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক মেয়ে (১৫) ও দশ বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে। প্রায় একবছর আগে বাড়িতে কেউ না থাকা অবস্থায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার স্বামী ধর্ষণ করে। ভয়ে মেয়েটি এ ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানায়নি। কিছুদিন পরই একই কায়দায় আবারো তাকে ধর্ষণ করে।

এভাবে কয়েকদিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে মেয়েটি তার মাকে তার সাথে ঘটে যাওয়া বাবার কুকর্মের ঘটনা খুলে বলে। লোকলজ্জার ভয়ে তিনিও এ বিষয়ে কাউকে জানাননি। দিন দিন স্বামী শরীফ আরো বেপোরোয়া হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজনও এই নেক্কারজনক ঘটনা সম্পর্কে জেনে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে এলাকা থেকে বের করে দেন।

এরপর (তিন মাস আগে) তারা শরীফের নিজবাড়ী মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া গ্রামে বসবাস করতে থাকেন। সেখানে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে মেয়েকে এবং ছেলেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করান।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনো এক সময় কিশোরী মেয়েটি গোসল করতে যায়। এসময় বাবা শরীফ হোসেন তার মেয়েকে দেখে গোসলখানায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে সময় কিশোরীর মা বাড়ির বাইরে ছিলেন।

সন্ধ্যার দিকে মা বাড়িতে এলে কিশোরী তাকে ঘটনা খুলে বলে। এ সময় কিশোরীর মা আশপাশের কয়েকজনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। পরে আস্তে আস্তে পুরো এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকাবাসী মিলে শরীফ হোসেনকে আটক করে মনোহরদী থানায় খবর দেন। পরে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শরীফ হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক শরীফ হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন :
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
রাজবাড়ী সংবাদদাতা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
রাজবাড়ীর পাংশায় নিজের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজা মিয়া (৩৮) নামে এক রিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রিকশাচালক রাজা মিয়াকে আটক করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের নিভা গ্রামের বাসিন্দা।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

নির্যাতিত স্কুলছাত্রী জানিয়েছে, তার বাবা মা দুজনেই কুষ্টিয়ায় থাকেন। তার বাবা সেখানে রিকশা চালান এবং মা একটি মেসে রান্নার কাজ করেন। সে বাড়িতে দাদীর কাছে থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। প্রায় এক বছর ধরে তার বাবা মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করেন।

বাবাকে সে এই কাজ করতে বার বার নিষেধ করলেও তিনি শোনেনি। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে তার বাবা বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করে আবার কুষ্টিয়া চলে যায়। এরপর এ ঘটনা সে তার চাচাসহ এলাকার লোকজনদের কাছে বলে দেয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার রাজা মিয়া আবারও বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে তারা তাকে মারধর করে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস রাজা মিয়াকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস জানান, ইউনিয়ন পরিষদে শত শত মানুষের সামনে রাজা তার নিজ মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে তিনি থানায় ফোন করে রাজা মিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ওসি আহসান উল্লাহ্ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া তার মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন তারা। এছাড়া শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের মারধরে রাজা মিয়া আহত হওয়ায় পুলিশি পাহারায় তাকে পাংশা উপজেলা হাসাপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।


আরো সংবাদ



premium cement