২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শালিস বৈঠকে যুবলীগ নেতার এলোপাতাড়ি গোলাগুলিতে আহত ৫

- ছবি : নয়া দিগন্ত

নরসিংদীর পলাশের ডাঙ্গায় সালিস বৈঠকে যুবলীগ সভাপতি নেতৃত্বে হামলার ও গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ছোড়া গুলিতে ইউপি সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন দেলু ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। আহতরা হলো কেন্দুয়াবো ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদল, একই গ্রামের কাজল (৩৫) শাহালম (২৮), ইব্রাহীম (৩০) ও নাজিম উদ্দিন (৪৫)। এদের মধ্যে কাজল, ইব্রাহীম ও নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাজল জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ডাঙ্গা ইউনিয়নের কেন্দুয়াবো গ্রামের বাতেনের সাথে একই গ্রামের মামুনের বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যের দারস্ত হয় মামুন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার উভয় পক্ষকে নিয়ে কেন্দুয়াবো মাদ্রাসা মাঠে সালিস দরবারের বসে ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদল।

এরই মধ্যে ২০ থেকে ২৫ টি মোটরসাইকেল যোগে ৩৫ থেকে ৪০ জনকে সাথে নিয়ে দরবারে আসেন ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবলীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু ও তার ভাতিজা আরিফ সালিসের বিচারক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদলের উপর হামলা করেন। পরে অস্ত্র তাক করে এলোপাথারী গুলি ছোড়তে থাকে। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এসময় দেলু বাহিনীর সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদলকে জখম করে। এসময় তাদের ছোড়া গুলিতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।


আরো সংবাদ



premium cement