২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সড়কে হত্যা থামছেই না, আবার বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুই ছাত্রের

সড়কে হত্যা থামছেই না, আবার বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুই ছাত্রের - সংগৃহীত

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। চালকের বেপরোয়া গতি, উদাসীন মনোভাব কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার গাজীপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় তাদের এক সহপাঠীসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে মহানগরের সালনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- গাজীপুর মহানগরের মাস্টারবাড়ি এলাকার জুম্মান হোসেন নাছির (১৮) ও ভীমবাজার এলাকার রবিন (২২)।

আহত হলো- দক্ষিণ বাউপাড়া এলাকার আলামিন (১৮) সবাই স্থানীয় লিঙ্কন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ছাড়া আহত অপরজন হলো অটোরিকশার যাত্রী আসোয়াত (১১)।

গাজীপুর সদর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, মহানগরের ইটাহাটা এলাকার লিঙ্কন কলেজ থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে তিন বন্ধু বাড়িতে যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ১টার দিকে দক্ষিণ সালনা এলাকায় কনকর্ড গার্মেন্টের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিপরীতগামী একটি অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী ছিটকে মহাসড়কের ওপর পড়ে যায়। এ সময় ময়মনসিংহগামী সৌখিন পরিবহনের একটি বাস কলেজছাত্র নাছিরকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। অপরদিকে আহত রবিনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে সে মারা যায়। তাদের সঙ্গে থাকা অপর একজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ জানান, আহত আলামিন ও আসোয়াতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : আবরারকে বাস চাপা দেয়ার কারণ বললেন চালক
নয়া দিগন্ত অনলাইন ২০ মার্চ ২০১৯
যাকে হত্যা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেই আবরার আহমেদ চৌধুরীকে বাস চাপা দেয়ার কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। সুপ্রভাত বাসের চালকের উদৃতি দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক নারী পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে পালানোর সময় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয়। মঙ্গলবার দায়ের করা মামলার এজাহারেও পথচারীকে চাপা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রভাতের বাসটি শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় বাসটি সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) ধাক্কা দেয়। এরপর দ্রুতগতিতে পালানোর সময় বসুন্ধরা আবাসিক গেটের কাছে আবরারকে চাপা দেয়। ওই পথচারী কোথায় আছেন সে বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত জানাতে পারেনি পুলিশ।


গুলশান থানার পুলিশ সূত্র জানায়, শাহজাদপুর থেকে লোকজন আহত ওই পথচারীর কথা ও বাসের নম্বর পুলিশকে জানায়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাসচালক সিরাজুল ইসলামও জিজ্ঞাসাবাদে নারী পথচারীকে ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই পথচারীকে অন্যরা হাসপাতালে পাঠালে তার বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তিনি কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বা এখন কোথায় আছেন সেটিও জানা যায়নি।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বাঁশতলায় ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে চালক বসুন্ধরা গেটে এসে আবরারকে চাপা দেয়। তবে বাঁশতলায় আহত হওয়া নারী কোনো হাসপাতালে ভর্তি না চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ক্লাস ছিল আবরারের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। ক্লাসে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নর্দ্দায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিইউপির বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement