২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রেমিকের বাড়িতে একসাথে ২ প্রেমিকা, অতঃপর...

প্রতারক প্রেমিক সাব্বির হোসেন - নয়া দিগন্ত

চতুর প্রেমিক। করছিলেন একসাথে দুইটি প্রেম। দুইজন প্রেমিকার সাথেই সমান ঘনিষ্ঠতা। একই সময়ে সমানতালে দুই প্রেমিকার সাথে প্রেম করে হয়তো মনে মনে বলতেন- ‘কি আমাকে দেখে হিংসে হয়?’! তেমন কিছু হয়েছে কিনা জানা না গেলেও দুইজন প্রেমিকা একই সময়ে বাড়িতে এসে উপস্থিত হওয়ায় চতুর প্রেমিকের হয়েছে ত্রাহি অবস্থা। আর এই ঘটনায় এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড় আর হাস্যরস।

অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম সাব্বির হোসেন (২০)। দুই প্রেমিকা বাড়িতে এসে উপস্থিত হওয়ায় বেরসিক পুলিশ আটক করে প্রেমিক সাব্বিরকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামে। এক প্রেমিকার মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সাব্বিরকে আটক করে।

আটককৃত প্রেমিক সাব্বির মির্জাপুরের বাইমাইল গ্রামের কামরুজ্জামান খানের ছেলে। সে মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটে চতুর্থ সেমিস্টারে অধ্যয়ন করছে।

এক প্রেমিকার মায়ের দায়ের করা অপহরণ ও যৌন নির্যাতনের মামলায় আটকের পর সোমবার প্রতারক প্রেমিক সাব্বিরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাছাড়া প্রতারণার শিকার স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মির্জাপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বাইমাইল গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে সাব্বির হোসেন মুন্সিগঞ্জ জেলার পলিটেকনিক কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পুলিশ ও এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, মোবাইলে প্রতারনার ফাঁদ পেতে সে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল।

একপর্যায়ে প্রেমিক সাব্বিরের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মির্জাপুর উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ও টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী) ছাত্রী এবং একই ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ও কুরনী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের (২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী) ছাত্রী।

গত শনিবার মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ইচাইল গ্রামের ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে নিয়ে আসে। এই ঘটনা দাসপাড়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও সাব্বিরের আরেক প্রেমিকা জানতে পেরে সাব্বিরের বাড়িতে বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায় এবং শতশত লোক ঐ ঘটনা দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করে।

এদিকে ইচাইল গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর মা রোজিনা বেগম প্রেমিক সাব্বিরকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে রোববার রাতে মির্জাপুর থানা পুলিশ বাইমাইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রতারক প্রেমিক সাব্বিরকে গ্রেফতার এবং দুই প্রেমিকাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসে।

এরপর মুচলেকা নিয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে তার অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে আরেক প্রেমিকা ও স্কুলছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় ডাক্তারি পরীক্ষার পর সোমবার তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতারক সাব্বিরকে গ্রেফতারের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে মুচলেকা নিয়ে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। স্কুলছাত্রীর মা রোজিনা বেগম যৌন নির্যাতন ও অপহরণের মামলা করায় তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ৩ মামলা তৃণমূল সংগঠনের মজবুতির জন্য কাজ করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ‘দেশ ও জাতি দুঃসময় পার করছে’ ওসমানীনগরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২ সহ-অধিনায়ক হতে পারেন রিজওয়ান মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের

সকল