২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রক্তের বন্যা বয়ে যাবে, সব মাইরা ফেলুম : এমপি বাবুর ভাগ্নে

- ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগ্নে ইকবাল হোসেন মোল্লা বলেছেন, ‘‘পৃথিবীর এমন কোন শক্তি জন্ম নেয় নাই আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে। যদি কেউ হস্তক্ষেপ করে তাহলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। অন্যান্য উপজেলায় যাই হোক না কেন আড়াইহাজার উপজেলায় কিছু করতে পারবে না। এমন কোন মায়ের ছেলে জন্ম নেয় নাই। যদি কেউ কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে আমি মেরে ফেলবো সব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রতীক নেওয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন। ইকবাল হোসেন মোল্লা আড়াইহাজার উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। একই সাথে তিনি নিজেকে আড়াইহাজার আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগিনা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

ইকবাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা দিবে, সমস্ত কিছু ছিন্ন বিচ্ছন্ন করে এগিয়ে যাবো। আমি কোন শুরু করবো না। যদি কেউ শুরু করে তাহলে আমি শেষ করবো। আমরা শান্তির পক্ষে। ধমক দিয়ে কথাও বলবো না। কিন্তু শুরু করলে এর শেষ করবো আমি।

আড়াইহাজারে জনবিচ্ছিন্ন লোককে নৌকা দেয়া হয়েছে। তারা জনগণের সাথে কথা বলে না এলাকায় যায় না। সিলেকশন যদি করে তাহলে নির্বাচনের দরকার কি।

মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শাহজালালের জনপ্রিয়তা নেই বিধায় উনি প্রত্যাহার করেছেন। নির্বাচন করতে হলে শুধু টাকায় হয় না। জনগণের ভালবাসা লাগে। আমি ইকবাল হোসেন মোল্লা টাকা দিয়ে রাজনীতি করি না। আমি এমপির ভাগ্নে এহিসেবে নির্বাচন করছি না।

আমি যেদিকে যাব সেদিকে লক্ষ্য জনতা যাবে। সমস্যার শুধু একটাই আমার আপন মামা। আমি বারবার বলছি আমি উনার ভাগিনা হিসেবে নির্বাচন করি না।

আমার বাবা চেয়ারম্যান, চাচা তিনবারের চেয়ারম্যান। আমার বাবা ২০ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমার পরিবার নির্বাচন করে এসেছে। আমি সেই হিসেবেই নির্বাচন করতে এসেছি।’

আড়াইহাজার আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন নজরুই ইসলাম বাবু এসে আমাকে এই করবেন সেই করবেন। কিন্তু কেন। উনি এমপি হিসেবে সবার জন্য সমান। আমি তাকে অনুরোধ করবো আপনি এই নির্বাচনে সবার জন্য সমান থাকবেন। উনি যদি ভাগ হয়ে যান তাহলে জনগণ ভাগ হয়ে যাবে। এমপির কাজতো আমাকে বসানো না। সিলেকশন যদি করে তাহলে নির্বাচনের দরকার কি।

দলীয় চাপ প্রসঙ্গে ইকবাল হোসেন মোল্লা বলেন, নৌকার পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করাতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। জোরে পারবে না। ওসিকে দিয়ে ফোন দিয়েছে। তবে জোরে পারবে না। কারণ জনগণ আমার সাথে আছে। দল বলছে যে জিতে আসবে সে হবে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা বিচক্ষণ নেত্রী।

উনি দেখতেছেন বিএনপি নির্বাচনে নেই। এইজন্য যে কেউ নির্বাচিত হয়ে আসবে তাকেই নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, মুজাহিদুল ইসলাম এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী।


আরো সংবাদ



premium cement