২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সন্তান জন্মদানে অক্ষম, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা আবু নকীব ও স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ - নয়া দিগন্ত

স্বামী আবু নকিব ঢাকা মহানগর পুলিশের সার্কেল অফিসার। আর স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ। যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে স্বামীর আবু নকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জাসমিন আহমেদ। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

যৌতুক দাবি ও মারধরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জাসমিনের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা আবু নকিবকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আবু নকিব ঢাকা মহানগর পুলিশের সার্কেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নকিবের ভাই মোঃ নাছের নিপুন (৩৫), বোন জুবরিয়া বেগম (৬০), অপর ভাই মোঃ আবু নোমান সজন (৫০) ও ভাইয়ের স্ত্রী শিরিন আক্তার হিরা (৪৫)।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সন্তান জন্মদানে অক্ষম জেনেও স্বামী মোঃ নকীব স্ত্রী জাসমিন আহমেদের সাথে ২০০৭ সালের ১৪ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী জাসমিনকে অত্যাচার করতে থাকেন স্বামী নকীব। একপর্যায়ে নিজের বিবাহ ও সংসার জীবন সুখে শান্তিতে কাটানোর জন্য স্বামী আবু নকীবকে ১২ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কার, ১টি মোটরসাইকেল এবং ঢাকায় জমি কেনার জন্য নগদ ৫০ লাখ টাকা দেন জাসমিন।

মামলায় আরো দাবি করা করা হয়, জাসমিনের স্বামী নকীব সম্প্রতি লম্বা দাড়ি রাখেন ও চালচলনে পরিবর্তন এনে ইসলামী লেবাস ধারণ করে ‘উগ্রবাদী সংগঠনের’ সাথে জড়িয়ে পড়েন। ইসলামের অনেক বিষয়ের অপব্যাখ্যা স্বামী আবু নকীব স্ত্রী জাসমিনকে ‘তার দলে ভেড়ানোর’ চেষ্টা করে।

এ ছাড়া প্রায়ই স্ত্রী জাসমিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল থেকে একবার ফেলে, ঘুমের মধ্যে গলাটিপে ধরে এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত পিপি জাসমিন আহমেদ বলেন, আমাকে না জানিয়ে আরো দুইটি বিয়ে করেন স্বামী নকীব। পরে জাসমিন আহমেদের খোঁজ-খবর নেয়া বন্ধ করে দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এরপর ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাসমিনের সঙ্গে দেখা করেন নকীব। সে সময় মারধর করে নগদ ৫ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, দলিল ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে চলে যায় সে। যাওয়ার আগে আরও ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এদিকে মামলার তদন্তের জন্য প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদকে ৭ দিনের মধ্যে অভিযোগ সংবলিত যথাযথ তথ্য জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। মামলার বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পিপি জাসমিন আহমেদের স্বামী আবু নকিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement