২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিয়ের দাবিতে বিষের শিশি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

প্রেম
বিয়ের দাবিতে বিষের শিশি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিয়ের দাবিতে বিষের শিশি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী। হয় বউ হবেন, না হয় লাশ হয়ে প্রেমিকের বাড়ির শ্মশানে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই অবস্থানকারী।

এ ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার বুরুয়া গ্রামে।

সরেজমিনে শুক্রবার বুরুয়া গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের বাগলবাড়ী গ্রামের এক ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে কলাবাড়ী ইউনিয়নের বুরুয়া গ্রামের কাশিনাথ বাড়ৈর কলেজপড়–য়া ছেলে রথীন বাড়ৈয়ের (২৫) সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। এ সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রথীন বাড়ৈ তার প্রেমিকার সাথে শারিরীক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রথীন সটকে পড়েন। কোনো উপায়ন্ত না দেখে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রথীনের বাড়ীতে অবস্থান নেন।

গোপালগঞ্জ মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যায়নরত এই ছাত্রী জানান, আমাকে যদি রথীন বিয়ে না করে তা হলে আমি এ বাড়িতেই লাশ হয়ে শ্মশানে যাবো। তিনি বলেন, রথীন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ালেখা করছেন।

রথীনের মা কানন বাড়ৈ বলেন, রথীন ও এই মেয়েটির সম্পর্কের কথা আমাদের জানা নেই। রথীন দু’মাস ধরে বাড়িতে আসে না। সে বর্তমানে ঢাকায় আছে।

আরো পড়ুন :
বিয়ের দাবিতে পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
গোয়াইনঘাট (সিলেট) সংবাদদাতা, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯
গোয়াইনঘাটে বিয়ের দাবিতে পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক কলেজছাত্রী। অভিযুক্ত কনস্টেবলের নাম সোলাইমান মিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কনস্টেবলের সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে গত ৯ই জানুয়ারী থেকে তিনি সেখানে অবস্থান নেন।

মেয়েটি জৈন্তাপুর ইমরান আহমেদ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। অন্যদিকে প্রেমিক পুলিশ কনস্টেবল হবিগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকার নয়াগাঙ্গেরপাড় গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সোলাইমান মিয়ার সাথে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে একই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। মেয়েটির দাবি, সোলাইমান তাকে বিয়ের কথা বলে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কও স্থাপন করেছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরেই পুলিশ কনস্টেবল সোলাইমানের অন্যত্র বিয়ের কথা চলছিল। এই পরিস্থিতিতে তিনি নিরুপায় হয়ে গত ৯ই জানুয়ারী থেকে বিয়ের দাবি নিয়ে তার প্রেমিক সোলায়মানের বাড়িতে অবস্থান নেন।

এদিকে মেয়েটি ওই বাড়িতে অবস্থানের একদিন পরই সোলাইমান পাশের গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ১৭ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু নাছোড়বান্দা কলেজছাত্রী এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন। অনশনরত মেয়েটির দাবি সোলাইমান তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত সেখান থেকে তিনি নড়বেন না।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি আবদুল জলিল জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাসায় অনশনে আইনজীবী প্রেমিকা
সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর অফিস, ২৮ আগস্ট ২০১৮
রংপুরের পীরগাছায় একজন কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক সপ্তাহ থেকে অবস্থান করছেন একজন মহিলা আইনজীবি। ৫ বছর ধরে প্রেম ও অবাধমেলামেশার পর প্রেমিক কলেজ শিক্ষক গোপনে বিয়ে করার চেষ্টা করলে প্রেমিকা আইনজীবি গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে প্রেমিক পালিয়ে যায়। বিভিন্নভাবে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সমাধানের চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

পুলিশ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পরিচালিত আরসিসি স্কুল এন্ড কলেজের কম্পিউটার শিক্ষক, পীরগাছার সদর ইউনিয়নের তালুক ইসাদ (দুধিয়াবাড়ি) গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র আখতার রহমানের (৩০) সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল একই ইউনিয়নের অনন্তরাম (উচাপাড়া) গ্রামের নুর ইসলামের কন্যা রংপুর জজ কোর্টের আইনজীবী নাজমিন আক্তার নয়নের (২৬)। পাঁচ বছর ধরে তারা একে অপরের সাথে অবাধে মেলামেশা করেন। এরই মধ্যে কলেজ শিক্ষক আখতার প্রেমিকাকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ের কথা পাকাপাকি করেন এবং ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে গায়ে হলুদের আয়োজন করে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রেমিকা আইনজীবি নাজমিন আক্তার নয়ন প্রেমিক আখতার রহমানের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে হাজির হন। এ সময় প্রেমিক আখতার কৌশলে পালিয়ে যান।

পরে আখতার রংপুর মহানগরীর বুড়িরহাট ফার্ম বাহাদুর সিং মাষ্টারপাড়া গ্রামের খায়রুল আলমের মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ে করার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় আখতার। কিন্তু গত এক সপ্তাহ থেকে প্রেমিকা আইনজীবি নয়ন প্রেমিক আখতারের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়ে আছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যপক তোলপাড় চলছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভির করছেন আখতারের বাড়িতে।

প্রেমিকা আইনজীবি নাজনিন আক্তার নয়ন জানান, আখতার হোসেনের সাথে আমার ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমার সাথে মেলামেশা করেছে। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে না করে গোপনে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করছিল। আমি সেখানে উপস্থিত হওয়ায় সে পালিয়ে গিয়েছে। আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। সে বাড়িতে এসে আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি তার বাড়ি থেকে যাবো না।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গত এক সপ্তাহে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফা বৈঠক করেন। কিন্তু বৈঠকে প্রেমিক আখতার হোসেন উপস্থিত না হওয়ায় কোনো সমাধান হয়নি। বৈঠক থেকে প্রেমিক আখতার বাড়িতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত ওই বাড়িতে প্রেমিকা আইনজীবি নয়নকে অবস্থান করার রায় দেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা কয়েক দফা বসেছি। কিন্তু ছেলে হাজির হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি। যতদিন ছেলে বাড়িতে আসেনি ততদিন প্রেমিকা মেয়েটি ওই বাড়িতে থাকবে। ছেলের পিতামাতাকে তার খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ছেলে এলে আমরা মেয়ের সাথে বিয়ে দিবো।

পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ হরেষ চন্দ্র সরকার জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনড় আছে। স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছেলেকে দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কবে এ ঘটনায় সেখানে যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি।


আরো সংবাদ



premium cement