২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বুধবার বসছে পদ্মাসেতুর ৮ম স্প্যান, দৃশ্যমান হবে ১২০০ মিটার

বুধবার বসছে পদ্মাসেতুর ৮ম স্প্যান - নয়া দিগন্ত

বুধবার নাওডোবা প্রান্তে পদ্মাসেতুর ৩৫ ও ৩৬ নং পিলারের উপর বসানো হবে ৮ম স্প্যান। মঙ্গলবার মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ থেকে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই এর মাধ্যমে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের ৮ম স্প্যানটি শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩৫ ও ৩৬ নং পিলারের কাছে অঅনা হয়। বুধবার যেকোন সময় এটি বসানো হবে বলে সেতু বিভাগের প্রকৌশলী সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে স্প্যানটি ৩৫-৩৬ নং পিলারের ওপর বসানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে সেতু বিভাগ। ৮ম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১০৫০ মিটার। এছাড়া মাওয়া পয়েন্টে একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১২০০ মিটার।

সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নং পিলারের মধ্যে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নং পিলারের উপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নং পিলারের উপর তৃতীয় স্প্যান এবং ১৩ মে ৪০, ৪১ নং পিলারে উপর বসানো হয় চতুর্থ স্প্যান এবং গত ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নং পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়।

তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারী জাজিরা প্রান্তে ৬ষ্ঠ স্প্যান বসানোর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।এর আগে মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে আরো একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। ফলে সেতুর দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হয় ১০৫০ মিটার। বুধবার ৮ম স্প্যান বসানো হলে দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১২০০ মিটার। মঙ্গলবার সকালে ৮ম স্প্যানটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইর্য়াড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার “তিয়ান ই” ক্রেনটি জাজিরা প্রান্তে ৩৫-৩৬ নং পিলারের কাছে অবস্থান করছে।

৪২টি খুটির উপর এমন ৪১টি স্প্যানের সাহায্যে পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৩ শতাংশ। এছাড়া মুল প্রকল্পের কাজের ৭৩ শতাংশ শেষ করেছে সেতু বিভাগ। সেতুর নির্মান কাজ শেষ হলে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেড়ে যাবে কয়েকগুন।

৮ম স্প্যানটি বসানোর সংবাদে পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ভাবে উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে। আর এ সেতুর কাজ শেষ হলে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। দেশের অর্থনৈতিতে নুতন মাত্রা যোগ হবে। পদ্মাসেতুর দু’পাড়ে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শহর। কল কারখানায় ভরে উঠবে এ এলাকা।

শ্রমজীবি মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। সর্বক্ষেত্রে ব্যবসা বানিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে সেতুর জাজিরা প্রান্তে। ইতি মধ্যে এপ্রোজ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলা চল শুরু করেছে । টোল প্লাজার নির্মান কাজ শেষ করেছে সেতু বিভাগ।

জাজিরার সত্তর মাদবরের কান্দিগ্রামের বাসিন্দা মোখলেছ মাদবর বলেন, আমরা বাপদাদার ভিটে বাড়ি হারিয়েছি পদ্মা সেতুর জন্য। এখন পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে। একে একে সেতুটি পুর্নাঙ্গ রুপ পাচ্ছে দেখে আমাদের জমি জমা হারানোর সব দুঃখ ভুলে গেছি। সেতুটির দিকে তাকালে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হয়।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement