২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মসজিদ কমিটি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২৫ : দুই কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার ২২

নারায়ণগঞ্জ
সংঘর্ষে আহত দুইজন ও ডানে (উপরে) কাউন্সিলর কবীর হোসেন ও (নিচে) সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবীর হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর শ্রমিক লীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্নার সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এঘটনায় দুই কাউন্সিলরসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে থেমে থেমে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এদিকে মুন্না গ্রুপের হামলায় কাউন্সিলর কবীরসহ কমপক্ষে ২৫ জন মারাত্মক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় দক্ষিণ নলুয়া জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে কাউন্সিলর কবীর ও সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার মাঝে বিরোধ চলছিল। রোববার কাউন্সিলর কবীরের ভাগিনা টিটু বর্তমান কমিটির কাছে হিসাব চাওয়ায় তাকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেয় মুন্নাপন্থীরা। এ নিয়ে রোববার রাতে এক পক্ষ সদর থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ এলাকায় পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার লোকজন প্রথমে কাউন্সিলর কবীরের উপর হামলা করে। এসময় মুন্নার পক্ষের কয়েক যুবক ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে কবীরের লোকজন খবর পেয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে এলে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। সংঘর্ষে কাউন্সিলর কবীর, নেয়ামত উল্লাহ, সুজন, সত্যজিৎ ও দুর্জয়সহ ২৫ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, মসজিদ কমিটি নিয়ে দুইপক্ষের বিরোধ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement