১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২৫-২৬ টি বিয়ে! এবার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকেও!

২৫-২৬ টি বিয়ে! এবার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকেও! - সংগৃহীত

অপকর্ম  জেনে  ফেলায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ‘বিয়ে পাগলা’  বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে। সাবেক স্ত্রীকে অনবরত বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাবসহ হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের জগন্নাথপট্টি গ্রামের মৃত জলিল মুন্সীর মেয়ে ভূক্তভোগী সাহিদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৭ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের উত্তরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর সাত্তারের ছেলে বিল্লাল হোসেন এর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর সাহিদা জানতে পারে, তাকে বিয়ে করার পূর্বে বিল্লাল আরো প্রায় ৩/৪ টি বিয়ে করেছেন।

বিয়ের কথা জেনেও মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে সংসার করছিলেন তিনি। কোন কাজ কর্ম না করলেও বিয়ে পাগল বিল্লাল উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের মিনি, মায়া, ফরিদপুরের লিলি, ভাগ্যকুল বাগান বাড়ির আখিঁ, মুন্সীগঞ্জ তালতলার পারভীন, মোকসেদপুরের হেলনা, মোহাম্মদপুরের আদুরি, মুক্তা, গাইবান্ধার পপি, ঢাকা কেরানীগঞ্জের শান্তা, সাভারের মান্তাপাড়ার রাজিয়া, গাবতলির নাহিদা, মাওয়ার লিপিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ২৫-২৬ টি বিয়ে করেন।

সাহিদা আরো জানায়, হঠাৎ একদিন তার স্বামী বিল্লাল তাকে এক ব্যক্তির সাথে রাত্রি যাপন করতে প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে সাহিদার সাথে বিল্লালের তুমুল ঝগড়া বাঁধে। স্বামী পরপুরুষের সাথে রাত্রি যাপনের প্রস্তাব দেয়ায় সাহিদার বুঝতে বাকি থাকে না বিল্লালের এতগুলো বিয়ে করার অসৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে। এর জের ধরে সাহিদা প্রায় ১ বছর আগে তাকে তালাক দেয় বিল্লালকে। মাদরাসায় পড়ুয়া ছেলে শুভ ও নিজের ভরণপোষণের জন্য একটি বিউটি পার্লার খোলেন তিনি।

বিল্লালের একাধিক বিয়ে করার অসৎ উদ্দেশ্য ও অপকর্ম জেনে ফেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পুণরায় বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে আসছে বিল্লাল। এতে সাহিদা রাজি না হওয়ায় পার্লারে যাতায়াতের পথে বিল্লাল তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, বিল্লাল তার অপকর্মের সহযোগী বেশ কয়েক জন বন্ধুকে দিয়ে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে সাহিদাকে কুপ্রস্তাব ও নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছেন বলে জানান সাহিদা। বিল্লালের বিভিন্ন ধরনের হুমকি বিষয়ে সাহিদা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ইউনুচ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুন্সীগঞ্জ একটি মিটিংয়ে এসেছি। থানায় গেলে অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে পারবো। এ ব্যাপারে এসআই ফরিদ হোসেন এর কাছে জানতে চইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে আমি তদন্ত করছি।


আরো সংবাদ



premium cement