২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একটি চকলেটের জন্য জীবন গেল কলেজছাত্রীর!

আত্মহত্যা
একটি চকলেটের জন্য জীবন গেল কলেজছাত্রীর! - নয়া দিগন্ত

চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে একটি চকলেট নিয়ে খেয়ে ফেলে কলেজছাত্রী। এতে ছোট ভাই কান্না করায় মায়ের বকুনী। রাগে ও ক্ষোভে বাড়ির সবার অজান্তে গুল খেয়ে আত্মহত্যা করে ওই কলেজছাত্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার শালমারা গ্রামে। নিহত ওই কলেজছাত্রীর নাম সানজিদা আক্তার (১৮)। সে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের বিপুল মন্ডলের মেয়ে এবং নারুয়া মুনছুর আলী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

নিহত কলেজছাত্রীর বাবা বিপুল মন্ডল জানান, তার মেয়ে সানজিদা আক্তার কলেজে পড়ে। তার ছেলে রুহানের (১০) কাছ থেকে একটি চকলেট নেয় সানজিদা। এতে ছেলে কান্নাকাটি শুরু করে। তার স্ত্রী রেহেনা বেগম মেয়ে সানজিদার উপর রাগ করলে এতে অভিমান করে সানজিদা বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির সবার অজান্তে বসতঘরের মধ্যে গুল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান, কারো কোনো অভিযোগ না থাকার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে লাশটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন :
দুই মেয়ের ঝগড়া থামাতে প্রাণ গেল মায়ের
বগুড়া অফিস, ২৪ জুলাই ২০১৮
বগুড়ার ধুনটে জমিজমা নিয়ে দুই মেয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল বুলি বেগম (১০০) নামের এক মায়ের। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল সকাল ১০টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত বুলি বেগম উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের মরহুম মোতরাজ কবিরাজের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুলি বেগমের কোনো ছেলেসন্তান না থাকায় তার দুই মেয়ে মাজেদাকে ১০ শতক ও হাসিনাকে ২৫ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। বর্তমানে বুলি বেগমের বসতভিটায় দুইটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মাজেদা ও হাসিনার মধ্যে গত রোববার বিকেলে বিবাদ শুরু হয়। এ সময় মেয়েদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলেই বুলি বেগম মারা যান। এ ঘটনায় হাসিনার মেয়ে ছাবিনা ইয়াছমিন বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ রোববার রাতে ঘটনাস্থল থেকে বুলি বেগমের লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

ধুনট থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা (ইউডি) রেকর্ড করা হয়েছে।

বন্ধুর দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কিশোরের
নিজস্ব প্রতিবেদক, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
রাজধানীর দক্ষিণখানে বন্ধুর দ্বন্দ্বে মেহেদী হাসান (১৬) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণখানের কে সি হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরে মেহেরাব ও সিফাত নামে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এ দিকে গতকাল পল্লবীতে সাইফুল ইসলাম নামে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও একাধিক সূত্র জানায়, মেহেদী সম্প্রতি দক্ষিণখানের আনারবাগ এলাকায় তার বন্ধু নাজমুল ইসলামের বাসায় বেড়াতে আসে। কিন্তু নাজমুল ও তার বন্ধুদের সাথে স্থানীয় কিশোর-তরুণদের আরেকটি পক্ষের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কে সি হাসপাতাল এলাকায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তখন নাজমুলের সাথে ছিল মেহেদী। একপর্যায়ে প্রতিপরে কয়েকজন গ্যাসের চুলার একাংশ দিয়ে মেহেদীর মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দক্ষিণখান থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরে মেহেরাব ও সিফাত নামে দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ঘাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আটকদের গ্রেফতার দেখানো হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, এখনো বিষয়টি নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সম্পৃক্ততা পেলে গ্রেফতার দেখানো হবে।

এ দিকে রাজধানীর পল্লবীতে সাইফুল ইসলাম নামে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে বারনটেক এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বাবার নাম জহিরুল ইসলাম। বাড়ি শেরপুর সদরে।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঈনুল কবির জানান, সাইফুলের মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভবন থেকে পড়ে গিয়েছেন, নাকি কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, না অন্য কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement