১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংকের ৮ হিসাবরক্ষকের কারাদণ্ড

দুর্নীতি
আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। - ছবি : নয়া দিগন্ত

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় গোপালগঞ্জ সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখার প্রধান ক্যাশিয়ারসহ আটজন ক্যাশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালত।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশেষ জজ আদালতের হাকিম মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনের পিপি মজিবর রহমান জানান, সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার পেনশন হোল্ডার ও ভুয়া পেনশন হোল্ডারদের নাম দেখিয়ে ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা ৩৮ পয়সা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই শাখার তৎকালিন হেড ক্যাশিয়ার (বর্তমানে বরাখাস্ত) শওকত হোসেন মোল্লা (৪৯)সহ আট ক্যাশ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।

আদালত এ মামলার প্রধান আসামি তৎকালীন প্রধান ক্যাশিয়ার শওকত হোসেন মোল্লাকে ব্যাংকে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি টাকা আত্মসাতের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা ৩৮ পয়সা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। জাল ও জালিয়তির দায়ে শওকত হোসেন মোল্লাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে দুই মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিযোধ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।

আদালত এ মামলার অপর সাত আসামিকে ১৮ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।

সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামিরা হলেন, সোনালী ব্যাংক ওই শাখার সাবেক ক্যাশিয়ার অমল চন্দ্র বিশ্বাস, এইচ.এম সিদ্দিকুর রহমান, মঞ্জুরুল হক, মোশারফ হোসেন মোল্লা, গোলাম মো: মুন্সি, দীলিপ কুমার মন্ডল ও ইফসুফ আলী খন্দকার। মামলাদায়েরের পর শুধু মোশারফ হোসেন মোল্লা ছাড়া সকলেই বরখাস্ত হন।

রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি শওকত হোসেন মোল্লা ছাড়া সোনালী ব্যাংকের বরখাস্ত হওয়া সাবেক সাত কর্মকর্তাই আদালতে হাজির ছিলেন। শওকত হোসেন গ্রেফতার হলেও মামলা চলাকালীন সময়ে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।

রায় ঘোষণার পরে উপস্থিত অভিযুক্ত সকল আসামিকে বিশেষ জজ আদালত থেকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আদালতের নথি ঘেটে জানা যায়, ওই আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পেনশন হোল্ডার ও ভুয়া পেনশন হোল্ডারদের নাম দেখিয়ে ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা ৩৮ পয়সা টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ওই ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক আব্দুস সোহবান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি তদন্ত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবুল বাশার। এ মামলার তদন্তকালে ওই দুই আসামি পরিমল বিশ্বাস ও খবিরউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement