১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্যালক-দুলাভাই অপহরণের ৭ দিন পর আড়াইহাজার থেকে উদ্ধার

শ্যালক-দুলাভাই অপহরণের ৭ দিন পর আড়াইহাজার থেকে উদ্ধার - সংগৃহীত

বাড়ি থেকে জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার পথে মদনপুর থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শ্যালক-দুলাভাইকে অপহরণ ও তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির সাত দিনের মাথায় অপহৃত একজনকে আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজানগোপিন্দী গ্রামের আলমগীরের বাড়ি থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপরজন কৌশলে পালিয়ে গেছে। উদ্ধারকৃত শ্রমিকের নাম শাহ আলম। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার লোলবাড়িয়া এলাকার হাফেজ আহাম্মদের ছেলে।

উদ্ধারকৃত শাহ আলম জানান, ১০ জানুয়ারি দুপুরে তাকেসহ তার শ্যালক আরিফকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর থেকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয় ও বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে তাদের পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একপর্যায়ে তার শ্যালক আরিফ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে আরিফ ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায় এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুুলিশের সহায়তা চায়।

পুলিশ প্রায় এক সপ্তাহ খোঁজাখুঁজি করে বৃহস্পতিবার রাতে শাহ আলমকে আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের অফিসের বারান্দা থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। উদ্ধারকৃত শাহ আলম বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ উজানগোপিন্দী গ্রামের আলমগীরকে আটক করেছে। এ বিষয়ে শাহ আলমের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে আলমগীরসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অপরাপর আসামিরা হচ্ছে- শাহেদ, আফজাল, রাতুল, আরমান ও মাজহারুল। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক রফিউদৌলা জানান, আটক আলমগীর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement