মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে
- সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লক্ষীবরদী গ্রামে এ ঘটন ঘটে। নেয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। এছাড়া এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা নেয়নি বলে থানা পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে ভূক্তভোগীরা।
সোমবার দুপুরে ভূক্তভোগী ইদ্রিস আলীর মেয়ে উম্মে কুলসুম সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন মামলার ভয়ে তারা গ্রাম ছাড়া ছিল। এখন জামিনে এসে প্রতিপক্ষে বাড়ি ঘরের তান্ডবের কথা সাংবাদিকদের জানান। ঘটনার পর ইদ্রিস আলীর স্ত্রী তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লক্ষিবরদী গ্রামের আমিনউদ্দিনের কলাই জমিতে ৩০ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে পার্শ্ববর্তী ইদ্রিস আলীর একটি ছাগল কলাই খাচ্ছিল। এসময় আমিনউদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা ওই ছাগলকে একটি ঢিল ছুড়ে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পর দিন সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামসহ ১৩ আহত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় নেয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন সোনারগাঁও থানায় ১৭ জনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ করা হয়েছে, মামলা দায়েরের পর পুলিশে হাতে গ্রেফতারের ভয়ে প্রতিপক্ষ ইদ্রিস আলী তার পরিবারসহ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এ সুযোগে নেয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলী গের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে শাহজাহান, সিরাজ, নয়ন, মিরাজ, নিরব, ইমন, নিলু, আসাদ, আলম, নিলয়, রাকিব, রাসেল, জাহাঙ্গীর, জুয়েল, জিসান, মিজু, শিরিনা, শারু, সুবর্ণাসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ওই বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় ঘরে থাকা টিভি,ফ্রিজ, আসবাবপত্র, খাট সুকেসসহ বিভিন্ন ভাংচুর করে। পরে দুটি ঘরের টিনের বেড়া ও ঘরে থাকা ৭ ড্রাম চাল, নগদ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়। ভাংচুরের ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ।
ইদ্রিস আলীর মেয়ে উম্মে কুলসুম জানান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ানের ইদ্ধনে আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫জনের একটি দল আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। আমাদের বাড়ির নারী পুরুষ সকলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে এ ভাংচুর ও লুটপাট করে। পুলিশ চেয়ারম্যানের ইশারায় মামলা নেয়নি। আমাদের বাড়ির সকল প্রকার আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত নেয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ৫ বছরে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীকে ইদ্রিস আলী ও তার পরিবার হেনস্তা করেছে। এমনকি হামলা করে আহত করেছে। গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান জানান, দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে ইদ্রিস আলীর বাড়িতে হামলার এ ঘটনা। তবে ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভাংচুরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আদালতে মামলা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা