২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দোহারে গৃহবধূ মনি হত্যার বিচার চেয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

গৃহবধূ মনি হত্যার আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন - নয়া দিগন্ত

ঢাকার দোহারে গৃহবধূ মনি হত্যার আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মনি হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি মনি বেগমের স্বামী মামেদ আলীকে পুলিশ আটক না করায় এ মানববন্ধন করেন গৃহবধু মনি বেগমের স্বজনরা। শুক্রবার দুপুর ১২টায় উপজেলার মুকসুদপুর ই্উনিয়নের পল্লীবাজারে মানববন্ধন আয়োজন করে নিহত মনি বেগমের স্বজনেরা।

উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ মনির লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় মনি বেগমের ঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। সে সময় তার ননদের জামাই হাসমত আলী পরিবারের সবাইকে ডেকে নিয়ে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় নিহত মনির লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী মামেদ আলী।

নিহত গৃহবধূ মনি’র শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে নিতে চাইলে মনি’র পিতা মাতা এটিকে হত্যাকান্ড বলে দাবী করে মনি’র স্বামী মামেদ আলীসহ ৩জনকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে রহস্যজনক এ হত্যাকান্ডের পর অভিযুক্ত সকল আসামি পলাতক রয়েছে।

মানববন্ধনে মনি বেগমের মা রীনা বেগম জানান, গত ৮ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আমরা মেয়েকে তার স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁসি দেওয়া অবস্থায় পাই। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে খবর দেয়া হয় যে, আপনার মেয়ের কি যেন হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ঐ বাড়িতে গেলে দেখি আমার মেয়েকে ঘরে তলাবদ্ধ করে রেখেছে। তালা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে গলায় ওড়ঁনা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। তবে পা দুটো বাঁকা হয়েছিল উচ্চতা এতই কম ছিল যে সেখানে ফাঁসি দেয়া সম্ভব ছিল না। আমাদের ধারণা মনির স্বামী মামেদ আলী আমার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল এবং বাহির থেকে তালাবন্ধ করে রেখেছিল।

নিহত মনির পিতা আমীর আলী বলেন, আমার মেয়ের দুটি সন্তান রয়েছে। একটি ৮ বছরের মেয়ে তাসলিমা ও একটি ৪ বছরের ছেলে সোলায়মান। আমরা আমার মেয়ে মনি হত্যাকারী আসামিদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
নিহত মনি বেগমের কন্যা তাসলিমা (৮) তার মা মনি বেগমের রহস্যময় মৃত্যুর বিচারের দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ মনি ও তার স্বামীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এলাকাভিত্তিক অনেকবার সালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করানোও হয়েছিল। এর আগেও মনির স্বামী মামেদ আলী চারটি বিবাহ করেছিল বলে জানা যায়।

দোহার থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement