২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

মাদারীপুরে সন্ত্রাসী তাণ্ডব, গর্ভবতী মহিলাসহ আহত ৩

-

মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে রোববার রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে রমিজউদ্দিনের বাড়িতে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট চালায় তারই আপন ভাতিজা সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীসহ ৩০/৩৫ জনের একটি দল।

এ সময় ঘরে থাকা রমিজউদ্দিনের স্ত্রী ফজিলা খাতুন (৫০), ছেলের বৌ তমা (২৩), ভাগনী হাসিনা গুরুতর আহত হন। আহতরা শরিয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রমিজউদ্দিনের নাতনি আঁখি আক্তার বলেন, আমরা সবাই বাসার মধ্যে ছিলাম। হঠাৎ দরজা ভাঙ্গার শব্দ পাই। দরজা ভেঙে ৩০/৩৫ জন লোক ঘরে ঢুকে যায়। সবার হাতে রামদা, কাটালি, বড় হাতুড়ি ছিল। দরজা, জানালা, আলমারি, খাটসহ আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় আলমারিতে রাখা নগদ ২ লাখ টাকা ও বাসার সকলের প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। আমরা ভয়ে চিৎকার করলে আমাদেরকেও মারধর করে। আমার গর্ভবতী মামি তমা আক্তারকেও অনেক মারধর করে। এমনকি আমাদের বাথরুমও ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এদের অনেককেই চিনতে পেরেছি। তার হলো, ফজলুল হক বেপারী, বাবলু বেপারী, জামাল বেপারী, রুমান বেপারী, আবু বেপারী।

সরেজমিনে একই চিত্র দেখা গেছে। দুর্বৃত্তরা রমিজউদ্দিনের ঘরের দরজা, দেয়াল, সমস্ত আসবাবপত্র এমনকি চারটি বাথরুম সবই ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পানির কলটাও খুলে নিয়ে গেছে।

রমিজউদ্দিন বেপারী ও ফজলুল হক বেপারী সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা। তারা সবাই ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের সমর্থক।

রমিজউদ্দিনের ছেলে নজরুল বেপারী বলেন, লুটপাট ভাংচুরে আমাদের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পরে কালকিনি থানার এস আই মুরাদ হোসেন এসে দেখে গেছে। আমরা ফজলুল হক বেপারীসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।

উক্ত ঘটনা জানার জন্য ফজলুল হকের বাসায় গেলে ও মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement