নেতাকর্মীদের কাঁধে ভর দিয়ে চলছে আহত বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
- ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৭
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার দাবি নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন আর ভোটের মাধ্যমে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার বার্তা নিয়ে হামলায় আহত বিএনপি প্রার্থী মো: শরীফুল আলম চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। জমজমাট প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে চলছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ। অন্য দিকে বিএনপি প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণাবিহীন গণসংযোগের অভিনব কৌশল দলমত ও শ্রেণী-পেশার ভোটারদের মুখে মুখে।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচরে) আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও মিছিলসহ নানা কর্মসূচি। তবে এ আসনে বিসিবি সভাপতি আ’লীগ প্রার্থী নাজমুল হাছান পাপনের পোস্টার-ব্যানার ও নির্বাচনী কার্যালয় হাট-বাজার, অলি-গলি ছেয়ে গেলেও পোস্টার-ব্যানার ও নির্বাচনী কার্যালয় ছাড়াই নির্বাচনী মাঠে ভাঙা পা নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী মো: শরীফুল আলম।
শরীফুল আলম বলেন, তাকে সুকৌশলে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরাতে তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ ভৈরব-কুলিয়ারচর এলাকায় ৪২টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের মাঠের নানা অনিয়ম তুলে ধরে বেশ কয়েকবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন তিনি। সেখান থেকে জেলা রির্টানিং অফিসারকে তদন্তের জন্য বলা হলেও, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তবে এবার তিনি জয়যুক্ত হবেন।
এদিকে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রী রোকসানা পাপন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অবাদে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে গণসংযোগ ও সভা-সামবেশ করতে পারলেও বিভিন্ন সময় বাধা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে বিএনপি প্রার্থী শরীফুল আলম সঠিক ভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছে না বলে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, কুলিয়ারচরের উছমানপুরে তার এক পথসভায় পুলিশ ও যুবলীগের হামলায় তিনিসহ বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মী অহত হয়েছেন। এবং ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন বলেন, গত বছরগুলোতে ভৈরব ও কুলিয়ারচরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতার রক্ষার স্বার্থে আবারো নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান তিনি। বলেন, এ বার ক্ষমতায় গেলে ভৈরব-কুলিয়ারচরকে আধুনিক শহরে রূপান্তর করা হবে।
ভৈরব উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন এবং কুলিয়ারচর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ৫০৯ জন। ভৈরব উপজেলার মোট ভোটার ২ লাখ ৩ শ’ ৩৯ জন এবং কুলিয়ারচর উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ১৬০ জন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা