১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোসাইরহাটে বিএনপি অফিসে হামলা-ভাংচুর, ৯ হাজার পোস্টারে আগুন

হামলার পর গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের চিত্র - নয়া দিগন্ত

শরীয়তপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা বিএনপি প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর নির্বাচনী ও উপজেলা বিএনপির কার্যালয় হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর ও ৯ হাজার পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা পোস্টার সাটানোর সামগ্রীসহ নগদ ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে শরীয়তপুরের রির্টানিং কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করার কথা জানিয়েছন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল জানান, শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট) আসনের বিএনপি প্রার্থী ও তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদের পোস্টার সাটানোসহ অন্যান্য নির্বাচনী করছিল উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

তিনি জানান, আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ৫০/৬০জন সমর্থক হঠাৎ করে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মামুন মিয়া, সাবেক দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, ইদিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পরাগ, সামন্তসার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইকবাল আকন ও সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ অন্তত ১০জন নেতাকর্মীকে মারধর করে ধানের শীষের ৯ হাজার পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় হামলাকারীরা পোস্টার সাটানোর সামগ্রীসহ নগদ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করার কথা জানিয়েছন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কামাল সরদার বলেন, আমরা দুপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় শুনতে পাই ছাত্রদলের ছেলেরা বিএনপির পার্টি অফিসে ছাত্রলীগের দুইজন ছেলেকে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। এই কথা শুনে আমরা তাদেরকে সেখান থেকে নিয়ে আসি। এ সময় অনেক লোকজনের মাঝে উত্তেজিত ছেলেরা কিছু পোস্টার নিতে পারে। কোনো পোস্টার পোড়ানো হয়েছে কিনা এটা আমার জানা নেই। আমাদের লোকজন কোনো পোস্টার পোড়ায়নি।

জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মামুন মিয়া বলেন, আমরা জু’মার নামাজ শেষে বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের কাছে পোস্টার পাঠিয়ে দিয়ে ৪টি ইউনিয়ন ও গোসাইরহাট পৌরসভায় পোস্টার টানানোর জন্য কাজ করছিলাম। দুপুর আড়াইটার দিকে গোসাইরহাট পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মিন্টু বেপারী, যুবলীগের আহবায়ক কামাল সরদার, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ ও উজ্জল মাদবরসহ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ৫০/৬০ জন সমর্থক আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এরপর তারা কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে ধানের শীষের ৯ হাজার পোস্টার আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। পাশাপাশি হামলাকারীরা অফিসে রক্ষিত নগদ ৩৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, হামলার বিষয়টি গোসাইরহাট থানা পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আমরা আমাদের প্রার্থীর সাথে পরামর্শ করে নির্বাচন কমিশন ও রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করবো।

এদিকে গোসাইরহাট থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজা বলেন, বিএনপি অফিসে হামলার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement