১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুলিয়ারচরে বিএনপির পথসভায় পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৮

পুলিশের হামলা ও লাঠিচার্জে আহত কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মোঃ শরীফুল আলম - নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের হামলা ও লাঠিচার্জে বিএনপির পথসভা পণ্ড হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় পুলিশের হামলা ও লাঠিচার্জে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমসহ কমপক্ষে ৪০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের চৌমুড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে থাকা আহত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিয়েছে বলে বিএনপির নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে উছমানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যায় চৌমুড়ী বাজারে নির্বাচনী পথসভায় বিএনপি প্রার্থী মোঃ শরীফুল আলম উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার সময় পুলিশের একটি দল সভাস্থলের পিছন থেকে নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা ও লাঠিচার্জ করে সভা পণ্ড করে দেয়। পুলিশের হামলায় এসময় বিএনপি প্রার্থীসহ প্রায় ৪০জন নেতাকর্মী আহত হয়। হামলায় বিএনপি প্রার্থী শরীফুল আলম হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

শরীফুল আলম অভিযোগ করেন, বিএনপিকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত রাখতে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ নিয়ে পুলিশ একতরফাভাবে কাজ করছে। পুলিশ পাহারায় নৌকার প্রার্থী প্রচারণা করার সুযোগ পেলেও বিএনপিকে কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, উছমানপুর ইউনিয়নের চৌমুড়ী বাজারে আমাদের পথসভায় পুলিশ অতর্কিতভাবে হামলা ও লাঠিচার্জ করে আমাকেসহ আমার প্রায় ৪০জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

তিনি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে প্রশাসনকে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো থেকে দূরে থাকার আহবান জানান। অন্যথায় এর দায়-দ্বায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, বিএনপির পথসভায় পুলিশের অতর্কিত হামলা ও লাঠিচার্জের ঘটনা অস্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার ওসি মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, চৌমুড়ী বাজারে একইস্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সভায় দুইপক্ষ সাংঘর্ষিক অবস্থান নিচ্ছে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সভা বন্ধ করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়ার সাথে সাথে বিএনপি’র লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে। এ সময় থানার এসআই এহসানুল হক, এসআই মুহাম্মদ আজিজুল হক, এসআই মোঃ শরীফুল ইসলাম ও এএসআই শীতল চন্দ্র পাল আহত হয়।

এ ঘটনায় থানার এসআই মোঃ শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার মোঃ ইউনুছ মিয়াকে প্রধান আসমী করে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা রুজু করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন মোঃ ইউনুছ মিয়া (৫৫), মোঃ বাচ্চু মিয়া (৬০), মোঃ রফিক মিয়া (৪০), মোঃ আমিনুল ইসলাম (৫৬), মোঃ সোহেল মিয়া (৩৮), মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪৮), মোঃ ফিরোজ মিয়া (৩৫) ও মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৫)।


আরো সংবাদ



premium cement