পরিবেশ নেই তবু নির্বাচনের মাঠ ছাড়ব না

ফরিদপুরে ধানের শীষের কাজ করায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একের পর এক নেতাকর্মীর ওপর সশস্ত্র হামলা ও মোটরসাইকেলে হেলমেট বাহিনীর মহড়ায় ভীতি ছড়ানোর অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুরের সদর আসনের প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেছেন, ফরিদপুরে নির্বাচনের কোনোই পরিবেশ নেই। তবু নির্বাচনের মাঠ ছাড়ব না। প্রতিপক্ষ চাইছে একটা গণ্ডগোল বাধিয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে। এদের কোনো ভোট নেই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। ইনশা আল্লাহ ধানের শীষের বিপুল বিজয় হবে। 

গতকাল দুপুরে শহরের কমলাপুরে ময়েজ মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় কামাল ইবনে ইউসুফ সোমবার রাতে তার বাসভবন ময়েজ মঞ্জিলের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে হেলমেট বাহিনীর মহড়ার অভিযোগ করে বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাতকাটা শাহিনের ভাই নাসিমের নেতৃত্বে ময়েজ মঞ্জিলের সামনে মোটরসাইকেলে এসে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হর্ন বাজিয়ে আমার নেতাকার্মীদের গালিগালাজ করে। আমরা যদি মাঠে নামি তবে ওদেরও জবাব দিতে পারব। ওরা চাইছে এভাবে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে। বিষয়টি তিনি মোবাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও জানিয়েছেন। তবে তাদের কণ্ঠে অসহায়ত্বই ফুটে উঠেছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কামাল ইবনে ইউসুফ বলেন, সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের বিলনালিয়ায় একটি নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করতে গেলে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি ঘিরে জয়বাংলা সেøাগান দিতে থাকে। পাশেই ওই এলাকার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া বউঘাটায় তার একটি নির্বাচনী অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। রঘুনন্দনপুরে নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে। 
সংবাদ সম্মেলনে কামাল ইবনে ইউসুফ মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ফরিদপুরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ছয়জন নেতাকর্মীর ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা তুলে ধরেন। শুধু ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ করার অপরাধেই তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। সর্বশেষ ছাত্রদল নেতা ফিরোজ সরদার, যুবদল নেতা আলী নেওয়াজ বিশাল ও ফয়সালকে সোমবার রাতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করা হয় বলে তিনি জানান। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরীজ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ধানের শীষের নেতাকর্মীদের কাউকে বাড়িতে গিয়ে কাউকে ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে, যদি ধানের শীষের কাজ করো তবে এলাকায় থাকতে পারবে না। জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গি বলেন, এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। 

সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে কিবরিয়া স্বপন। এ সময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাফর হোসেন বিশ্বাস, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।