পরিবেশ নেই তবু নির্বাচনের মাঠ ছাড়বো না : সংবাদ সম্মেলনে কামাল ইবনে ইউসুফ
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:২৯
ফরিদপুরে ধানের শীষের কাজ করায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একের পর এক নেতাকর্মীর উপর সশস্ত্র হামলা ও মোটর সাইকেলে হেলমেট বাহিনীর মহড়ায় ভীতি ছড়ানোর অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুরের সদর আসনের প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেছেন, ফরিদপুরে নির্বাচনের কোনোই পরিবেশ নেই। তবু নির্বাচনের মাঠ ছাড়বো না। প্রতিপক্ষ চাইছে একটা গন্ডগোল বাঁধিয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে। এদের কোনো ভোট নাই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। ইনশাআল্লাহ ধানের শীষের বিপুল বিজয় হবে। ভোটের জোয়ারে এরা উড়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কমলাপুরে ময়েজ মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় কামাল ইবনে ইউসুফ সোমবার রাতে তার বাসভবন ময়েজ মঞ্জিলের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে হেলমেট বাহিনীর মহড়া অভিযোগ করে বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাতকাটা শাহিনের ভাই নাসিমের নেতৃত্বে ময়েজ মঞ্জিলের সামনে মোটরসাইকেলে এসে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হর্ণ বাজিয়ে, আমার নেতাকার্মীদের গালিগালাজ করে। আমরা যদি মাঠে নামি তবে ওদেরকেও জবাব দিতে পারবো। ওরা চাইছে এভাবে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে। এ বিষয়টি তিনি মোবাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও জানিয়েছেন। তবে তাদের কন্ঠে অসহায়ত্বই ফুটে উঠেছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এছাড়া ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া এবং পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খানকে বারবার মোবাইল ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি বলে তিনি জানান। তবে সকালে জেলা প্রশাসক তাকে ফোন করলেও তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কামাল ইবনে ইউসুফ বলেন, সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়য়ের বিলনালিয়ায় একটি নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করতে গেলে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি ঘিরে জয়বাংলা শ্লোগান দিতে থাকে। পাশেই ওই এলাকার চেয়ারমান ও আওয়ামী লীগ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বউঘাটায় তার একটি নির্বাচনী অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। রঘুনন্দনপুরে নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল ইবনে ইউসুফ মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ফরিদপুরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ছয়জন নেতাকর্মীর উপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা তুলে ধরেন। শুধুমাত্র ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ করার অপরাধেই তাদের উপর এ হামলা চালানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। সর্বশেষ এদের হামলার শিকার হয়ে ছাত্রদল নেতা ফিরোজ সরদার (২৫), যুবদল নেতা আলী নেওয়াজ বিশাল (৩৮) ও ফয়সাল (৩৫) কে সোমবার রাতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করা হয় বলে তিনি জানান। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরীজ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ধানের শীষের নেতাকর্মীদের কাউকে বাড়িতে গিয়ে কাউকে ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে, যদি ধানের শীষের কাজ করো তবে এলাকায় থাকতে পারবে না।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি বলেন, এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ ও মৌখিক অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন। এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাফর হোসেন বিশ্বাস, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা