২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফরিদপুরে ডেকে নিয়ে এবার ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা

-

ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার অপরাধে ফরিদপুরে ফিরোজ সরদার (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

সোমবার রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ে অবস্থিত মুখ ও বধির স্কুল ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী একযোগে এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় একটি ছাত্র সংগঠনের প্রভাবশালী এক ছাত্রনেতার জড়িত বলে জানা গেছে।

আহত ফিরোজ কোতয়ালী থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কৈজুরী ইউনিয়নের তুলাগ্রামের জনৈক সেলিম সরদারের ছেলে। তিনি ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটিতে এলএলবিতে অধ্যয়নরত।

তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে রাতেই নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজু ও কামাল জানান, সন্ধ্যা ৭টার পর তারা একসাথে বিএনপি প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের বাড়ি থেকে বের হয়ে তুলাগ্রাম বাজারে পৌঁছান। এসময় রাজু (২৫) নামে এক যুবক ফিরোজকে কথা আছে বলে কিছুদূরে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রওয়ানা হয়। ফিরোজকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটা দেখতে তারাও রাজুর পিছু নেয়।

তারা জানান, এরপর ফিরোজকে মুক ও বধির স্কুলের ভেতর নিয়ে মেইন গেট বন্ধ করে দেয়। তখন সেখানে ২৫ থেকে ৩০ জন যুবককে সশস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ফিরোজকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে অটোরিকশাযোগে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেখা যায়, ফিরোজের সারা শরীরেই আঘাতের চিহ্ন। ডান পায়ে ও হাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায়, তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙে গেছে।

এসময় বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও তার রাজনৈতিক প্রতিনিধি চৌধুরী নায়াব ইউসুফসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আহত ফিরোজকে দেখতে হাসপাতালে যান। নায়াব ইউসুফ একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পরেন।

চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে তিনজনের উপর একইভাবে হামলা করা হলো। প্রশাসন যদি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে না পারে তবে আমাদের নেতাকর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না? আমরা মাঠে নামলে ফরিদপুর কুরুক্ষেত্রে পরিণত হবে। তিনি এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের জেলা উম্মে সালমা তানজিয়া এবং পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খানের নিকট মোবাইলে এসব হামলার অভিযোগ জানান।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাফর হোসেন বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনান, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনুসহ নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement