২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শরীয়তপুরে আসনে বিএনপির ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

-

শরীয়তপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর প্রস্তাবকারী সখিপুর থানা যুবদলের সভাপতি, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সমর্থনকারী সখিপুর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি প্রার্থী শফিকুর রহমানের নির্বাচন পরিচালনাকারী ২৭ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সখিপুরের দক্ষিন তারাবুনিয়ায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মানিক বাদী হয়ে সোমবার রাতে সখিপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন । এ মামলায় আরো ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবী বিএনপির প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরণের জনপ্রিয়তা দেখে তারা ঈর্ষাণিত্ব হয়ে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যাতে করে বিএনপি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনে ভোট চাইতে যেতে না পারে। বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন বলেও দাবী করেছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার সন্ধ্যায় দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মাল বাজার এলাকায় এনামুল হক শামীমের সমর্থনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলাকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। সখিপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি শাহাদাত বেপারীর নেতৃত্বে বিএনপির ৫০-৬০ নেতা কর্মী এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা আহত হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এরপর সোমবার সখিপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, শরীয়তপুর-২ আসনটি নড়িয়া উপজেলা ও ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার নয়টি ইউনিয় নিয়ে গঠিত। ওই আসনের আ.লীগের প্রার্থী দলটির কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। আর বিএনপির প্রার্থী শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শফিকুর রহমান কিরণ। মামলার আসামীরা সবাই শফিকুর রহমান কিরনের সমর্থক। মামলার বাদী আওয়ামীলীগের প্রার্থী এনামুল হক শামীমের সমর্থক। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ নির্বাচনের মুহুর্তে এমন মামলা দিয়ে নেতাদের নির্বাচনের মাঠ থেকে দুরে রাখা, আতঙ্ক সৃষ্টি ও হয়রানি করাছাড়া কোন কারণ থাকতে পারে না।

মামলায় সখিপুরের আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আজমল হক নান্টু মালত, সখিপুর থানা যুবদলের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ মাসুম বালা, বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুদ্দিন দর্জি, সখিপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মানিক বকাউল, সখিপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি শাহাদাত বেপারী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজিব সরদার, বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মাল, সখিপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইউসুফ জিসান বালা, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ওসমান তাঁতী ও সাধারণ সম্পাদক কামাল বেপারীসহ ২৭ জনের নাম উল্যেখ করা হয়।

সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন বেপারী ও সাধারন সম্পাদক রাজিব সরদার বলেন, এই মামলাটি একটি সাজানো নাটক। ঘটনার দিন কোন বিএনপি নেতাকর্মী ঐ এলাকায় যায়নি। ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে বলেও আমাদের জানা নেই। আমাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারনায় বাধাগ্রাস্থ করতেই এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

মামলার বাদী দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মানিক বলেন, আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিএনপির নেতাকর্মীরা পাঁচ-ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, হামলা করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য মামলাটি করা হয়েছে । আসামীরা কেউ বিদেশে থাকে না সবাই দেশেই আছে।

সখিপুর থানা যুবদলের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ মাসুম বালা বলেন, এটি একটি মিথ্যা মামলা। ওই দিন মামলার কোন আসামী ঘটনাস্থলে ছিলনা। সেদিন শরীয়তপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরনের বাড়িতে বিএনপির একটি ঘরোয়া সভা ছিল। এই অঞ্চলের সকল নেতা-কর্মী সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আচরণ বিধি ভেঙে বিভিন্ন স্থানে মিছিল মিটিং করছেন। আর আমরা যাতে প্রচার প্রচারণা করতে না পারি, নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে থাকি এ কারনে মিথ্যা মামলাটি দেয়া হয়েছে।

তিনি দাবী করেন, মামলার আসামী দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন চৌধুরী এক বছর যাবত সৌদি আরব আছেন। তাকেও এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক আসামী রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের পিতার নামও ঠিক নেই। এতই বুঝা যায় কেন এ মামলা করা হয়েছে। আমাদের প্রাথী শফিকুর রহমান কিরণের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দেশের বাহিরে থাকা কোন ব্যক্তি আসামী হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল