২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, সহযোগীতার দায়ে পিতা আটক

-

ঢাকার দোহার উপজেলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ৫ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে পিতা ও প্রবাসী পুত্রকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন, দোহার উপজেলার মাদক বিরোধী সংগঠন এসডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দোহার থানা মানবাধিকার কমিশনের সাবেক বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক ও দোহার থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নাসির উদ্দিন পল্লব (৪৭) ও তার পুত্র দুবাই প্রবাসী রিফাত হোসেন শাওন (৩০)। তারা উপজেলার চরকুশাইচর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে দোহার থানায় নারী ও শিশু অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগীতায় পিতা-পুত্র ও মাকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।

ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ের সাথে রিফাত হোসেন শাওনের ২টি স্ত্রী থাকার পরেও পরিকল্পিতভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সখ্যতা গড়ে তোলে। রিফাত গত সপ্তাহে দুবাই থেকে গোপনে ছুটিতে এসে ঢাকায় তার মামার বাড়ীতে উঠে। এরপর শুক্রবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিফাতের মা ও বাবা তার মেয়েকে জোরপূর্বক গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে ঢাকা মোহাম্মদপুরে তার মামার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর লাল কাপড়ে বাঁধা ধর্মীয় বই ধরিয়ে বিয়ের নাটক সাজায়। এরপর রিফাতের বাবা, মা সহয়োগীতায় একই ঘরে আবদ্ধ রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি।

পুলিশ জানায়, পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রিফাত হোসেন শাওনের সন্ধান পায়। এসময় রিফাতের পিতা নাসিরের কাছে তার পুত্র কোথায় আছে জানতে চাইলে তার ছেলে বিদেশে আছে বলে জানান। এ ঘটনায় পুলিশ নারী ও শিশু অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা রুজু করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নাগেরকান্দা বাঁশতলা এলাকার আসামীর চাচা ইয়াকুব আলীর বাড়ী থেকে পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নাসির উদ্দিন পল্লব বিভিন্ন সংগঠনের আড়ালে অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও তার পুত্র দুবাই প্রবাসী রিফাত হোসেন শাওনের বিরুদ্ধে দোহার থানায় মাদক ও পর্ণগ্রাফী নির্মাণেরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলে জানায় স্থানীয়রা।

এব্যাপারে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য কমরেড করম আলী জানান, তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দোহার থানার উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ খান জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে দোহার থানায় ৭/৯ (১)/৩০ ধারায় নারী ও শিশু অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগীতায় পিতা ও পুত্রকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে অজ্ঞাতকারণে রিমান্ড চাওয়া হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement