১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গ্যাসসংযোগ দেয়ার ৩৮ দিন পর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানায় উৎপাদন শুরু

ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা - ফাইল ছবি

নরসিংদীর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানায় গ্যাসসংযোগ দেয়ার ৩৮ দিন পর কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস গ্যাসসংযোগ বন্ধ থাকার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুনরায় সংযোগ দেয়া হলেও সার উৎপাদন শুরু করতে ব্যর্থ হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

রোববার রাত ৮টায় সার উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে ঘোড়াশাল সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেন নিশ্চিত করেন।

বিসিআইসি নিয়ন্ত্রাধীন দেশের বৃহত্তম ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ১৪২২ টন ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ৩০০ টন।

গ্রীষ্মকালে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সারকারখানা দুটিতে সরকারি সিদ্ধান্তে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পেট্টোবাংলা।

এরপরই ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরে চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সরকারি সিদ্ধান্তে পেট্টোবাংলা এ দুটি সারকারখানায় আবারো গ্যাস সংযোগ চালু করে।

গ্যাস সংযোগ চালুর তিনদিন পর পলাশ সারকারখানায় উৎপাদন শুরু হলেও ঘোড়াশাল সারকারখানায় যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে উৎপাদন শুরু করতে ব্যর্থ হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কারখানার উৎপাদন বিভাগ জানায়, ঘোড়াশাল সার কারখানায় প্রতি মেট্রিক টন সার উৎপাদনে খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। আর একই পরিমাণ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। তাছাড়া এ বছর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার টন। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

তিতাসের ঘোড়াশাল সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘোড়াশাল সার কারখানায় দৈনিক ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট ও পলাশ সার কারখানায় ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানার সিবিএ সভাপতি আমিনুল হক ভূইয়া জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় একদিকে কারখানাটি যেমন আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছিল অন্যদিকে কারখানায় পড়ে থাকা অনেক যন্ত্রপাতি মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, কারখানার প্রকৌশলীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোববার রাত ৮ টায় উৎপাদন শুরু করতে সক্ষম হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement