২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আ’লীগের উচ্ছিষ্ট ও পদবঞ্চিতরাই জাতীয় ঐক্যে : তারানা হালিম

জাতীয় ঐক্য
দেলদুয়ারে তারানা হালিম - ছবি : নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগের উচ্ছিষ্ট ও পদবঞ্চিতরাই জাতীয় ঐক্যে যোগ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ’ দেলদুয়ার উপজেলা শাখার আয়োজনে ও শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় আজ বৃহস্পতিবার দুুপরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় ঐক্যের অধিকাংশ নেতাই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এখন তারা জাতীয় ঐক্যে গেছেন। আমরা যদি প্রশ্ন করি যেই বঙ্গবন্ধু আপনাদের নেতা বানাল, যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের মুরুব্বি বলে মানল, তার দলে ঠাঁই দিল, সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে আপনারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন কিভাবে? যারা এভাবে ষড়যন্ত্র করতে পারে তারা শুধু অনৈক্যের জন্ম দিতে পারে, কোনোদিন জাতীয় ঐক্যের জন্ম দিতে পারে না। তাদের নিজ দলেরই ঐক্য নাই, নিজ দলেই তারা অনৈক্য ও ভাঙন সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, তারা কখনোই জাতীয় ঐক্যের জন্ম দিতে পারেন না।

‘আমাদের নেত্রীর সাথে যারা বেঈমানী করেছে তারা জাতীয় ঐক্যে গিয়ে জয়েন করেছেন। যারা নিজ নেতৃত্বের সাথে বেঈমানী করে তারা অন্ততঃপক্ষে জাতীয় ঐক্য করতে পারে না। যে ঐক্যের ভিত্তি বেঈমানী হয়, তারা কখনোই ঐক্য সৃষ্টি করতে পারে না- এটা মনে রাখবেন’, বলেন তারানা।

তিনি আরো বলেন, ‘আজকে তারা বলছেন জনগণের দুঃসময়ে তারা পাশে থাকবে। আপনারা তো আপনাদের নেত্রীর দুঃসময়ে পাশে ছিলেন না, জনগনের দুঃসময়ে কিভাবে পাশে থাকবেন? দলের দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়াননি আপনারা, নেত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। কাজেই আপনাদের দিয়ে কোনো ঐক্য সম্ভব নয়।’

তারানা বলেন, ‘আপনারা যে বিএনপির সাথে হাত মিলিয়েছেন সেই বিএনপি কারা? যারা শিশু রাসেলকে হত্যা করেছিল, যারা প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, যারা এক এগারো জন্ম দিয়েছিল, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল, যারা নেত্রীকে মেরে ফেলার জন্য ৭৫ কেজি বোমা পুঁতে রাখে, যারা ৬৪ জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা করে তাদের সঙ্গে আপনারা জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন। এতো রাজনীতি দেউলিয়াপনায় আপনারা ভোগেন যে, আপনারা জঙ্গি-সন্ত্রাসী কিছুই দেখেন না। জামায়াতের সাথে যারা রাজনীতি করে তাদের সাথে এক মঞ্চে যান, এতো নেতৃত্বের কাঙ্গাল যারা হয় তারা অন্তত জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারে না। আমরা দৃঢ কন্ঠে বলতে পারি আওয়ামী লীগ যদি আমাদের কোনো পদ-পদবি কোনো কিছু না দেয় তবুও আমরা নেত্রীর জন্য রাজপথে থাকব।’

শিশু কিশোর পরিষদ দেলদুয়ার উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন সানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি জাফর আলী খান, প্রধান আলোচক ছিলেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: সাজিদ খান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার ফজলুল হক, সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লায়ন এম. শিবলী সাদিক, দেলদুয়ার থানার ওসি সাইদুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।

আরো পড়ুন :
জাতীয় ঐক্য নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে যে ঐক্য হবে, তা হবে জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক ঐক্য। এই ধরনের ঐক্য জনগণের মধ্যে কোন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় এক জনসভায় এ কথা বলেন।

কর্ণফুলী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে এই দলের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি বলেন, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকায় দলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরে গেছে।

কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই উন্নয়নের জন্যই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।

এর আগে বিমান ও রেলপথে সাংগঠনিক সফরের পর এবার সড়ক পথে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত তিন দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত (রা.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সাংগঠনিক সফরের কার্যক্রম শুরু হয়। আজ রাতে নেতৃবৃন্দ কক্সবাজার অবস্থান করবেন। আগামীকাল সাংবাদিক সম্মেলন শেষে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement