ছোট বোনের পরকীয়ায় প্রাণ গেল বড় বোনের
- চাঁদপুর সংবাদদাতা
- ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪৮
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রীকে খুন করেছে স্বামী। এই ঘটনায় স্বামী হযরত আলী ও নিহত নাসরিন আক্তার রিবার ছোট বোন আইরিন আক্তার রেখাকে আটক করেছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানায়, গত মার্চ মাসে প্রবাসী হযরত আলীর সাথে হাজীগঞ্জের পূর্ব হাটিলা গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রহিমের মেয়ে রিবার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিবার ছোট বোন রেখার সাথে হযরত আলীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরকীয়া প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোতে রিবাকে তার স্বামী ও ছোট বোন হত্যার পরিকল্পনা করে।
বিদেশ থেকে দেশে ফিরে গত ৯ অক্টোবর হযরত আলী তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকা রেখার সহযোগিতায় স্ত্রীকে হত্যা করে।
ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৪ অক্টোবর হাজীগঞ্জ থানায় নিহত রিবার বাবা আবদুর রহিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মৃত্যুর রহস্যের অনুসন্ধান চালিয়ে হযরত আলীকে গত মঙ্গলবার আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার নিহতের ছোট বোন আইরিন আক্তার রেখাকে আটক হয়।
হযরত আলী চাঁদপুর আদালতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন :
বগুড়ায় মা ও মেয়ে নৃশংস খুন : নেপথ্যে পরকীয়া!
বগুড়া অফিস, ২১ আগস্ট ২০১৮
সোমবার রাতে বগুড়া শহরের টিনপট্টি এলাকায় নিজ বাসায় সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু কন্যা নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার মূল ঘাতক হিসেবে মোবারক হোসেন বকুল (১৯) নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে শহরের ফুলবাড়ী উত্তর পাড়ার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। পেশায় ওয়ার্কশপ শ্রমিক বলে জানা গেছে। পুলিশ পরকীয়া সম্পর্ককে খুনের কারণ হিসেবে বলেছে। মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আশরাফ আলী এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, নিহত রুবি বেগমের স্বামী ইউসুফ শেখের বন্ধু গ্রেফতারকৃত বকুলের বড় ভাই মুকুল। বড় ভাইয়ের সূত্র ধরে ওই বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে রুবির সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে বকুলের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। এরই সূত্র ধরে সোমবার রাত ১১টায় নিজ বাসায় বকুলকে আসতে বলেন রুবি। সেখানে এলে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর রুবি বিয়ের চাপ দিলে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বকুল চাকু মারেন রুবির বুকে। এসময় তার চিৎকারে রুবির কন্যা সুরাইয়া (৬) ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে বকুল। এরপর তিনি পালিয়ে যান। এ সময় ওই বাসায় আর কেউ ছিল না। পুলিশ সকালে লাশ উদ্ধার করে। এরপর বকুলকে গ্রেফতার করলে তিনি হত্যার বর্ণনা দেন।
উল্লেখ্য , বগুড়া শহরের টিনপট্টি এলাকায় ঘরের ভিতর থেকে মা ও মেয়ের লাশ মঙ্গলবার পুলিশ উদ্ধার করেছে। সোমবার রাতে কোনো এক সময় তাদের হত্যা করা হয়। এর মধ্যে মা রুবি খাতুনকে (২৬) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও তার মেয়ে ছয় বছরের শিশু সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানায়, ওই বাড়িতে গৃহবধূ তার মেয়েকে নিয়ে একটি ঘরে থাকতেন। তার স্বামী ইউসুফ শেখ সৌদি আরবপ্রবাসী। ঘরে মা ও মেয়ে থাকতেন। বাড়ির অন্য ঘরে পরিবারের অপর সদস্যরা থাকতেন। সকালে শোবার ঘরের বিছানার ওপর রুবির রক্তাক্ত ও শিশুর শ্বাসরোধ করা লাশ পাওয়া যায়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা এলাকায় আলোড়ন ফেলে। ঘরে লাশ পাওয়ার পর সেখানে শত শত লোক ভীড় জমায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়াও ইতোমধ্যে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো সুস্পস্ট নয়, তবে পরকীয়া কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা