২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ধর্ষিতা কিশোরীর!

প্রতীকি ছবি। - ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১৩ বছরের এক কিশোরী গণধষর্ণের শিকার হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার গোপালদী পৌরসভার মোল্লারচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু টাকার অভাবে তার চিকিৎসা হচ্ছে না বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ব্যপারে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, উপজেলার মোল্লারচর গ্রামের কিশোরীর মা বাজারে পিঠা বানিয়ে রাত পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। আর বাবা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায়। সোমবার তার মা কাজ করতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে। ওই দিন সন্ধা সাতটায় পরিবারের সদস্যদের জন্য ধর্ষিতা কিশোরী চুলায় রান্না বসায়। এই সুযোগে ওই এলাকার আব্বাসের ছেলে শেখ ফরিদ (২০), নাজিমউদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২), ইব্রাহীমের ছেলে সফিকুল (২০) ও অজ্ঞাত আরও একজন মিলে ওই শিশুটির মুখে লুঙ্গি চেপে ধরে পাশ্ববর্তী আজিজ মাস্টারের পরিত্যক্ত বাগানে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।

কয়েক ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরলে সে বাড়িতে এসে তার মাকে ঘটনাটি জানালে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতার শঙ্কটাপন্ন অবস্থার কারণে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

অভিযোগ রয়েছে, লম্পট শেখ ফরিদের বাবা আব্বাস আলী মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সে মেয়েটিকে ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। সকালে ধর্ষিতা মেয়েটির অবস্থা আরো অবনতি হলে পুনরায় আড়াইহাজার হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার আড়াইহাজার থেকে আবারো নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

কিন্তু টাকার অভাবে তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিতে পারছে না মেয়েটির মা। ৩ ঘন্টা যাবত অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পরে থাকে মেয়েটি। কর্তব্যরত ডাক্তার আশরাফুল আমীন জানান, আড়াইহাজার হাসপাতালে কোন চিকিৎসা নেই।

এ ব্যাপারে থানার ওসি আরো জানান, এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।

 

আরো পড়ুন: চাঁদপুরে দুই বোনের হতাহত, নেশা নাকি ধর্ষণ

শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর, ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩৮


চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাটিলা ইউনিয়নে রাতের আধারে দূর্বৃত্তদের দেয়া নেশা জাতীয় দ্রব্যে অজ্ঞান হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছেন গৃহবধু নাসরিন আক্তার রেবা (২০)। একই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহতের ছোট বোন নবম শ্রেনীর ছাত্রী আইরিন আক্তার রেখা (১৪)। তবে বিষয়টি নেশা নাকি ধর্ষণ করা হয়েছে এমন দ্বিমুখী বক্তব্যে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের বাড়ীতে এখন শোকের মাতম চলছে।

গত ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাটিলা ইউনিয়নের পূর্ব হাটিলা গ্রামের বেপারী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন ও আইরিন ওই বাড়ীর দুবাই প্রবাসী আব্দুর রহিমের কন্যা। নাসরিন বিবাহিত। সে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মনিহার গ্রামের দুবাই প্রবাসী হযরত আলী স্ত্রী। এঘটনার পর নিহতের পিতা ও স্বামী উভয় দুবাই থেকে দেশে এসেছেন। 

নিহতের প্রতিবেশী ফেরদৌসি আক্তার জানান, ঘটনার রাতে নাসরিন ও আইরিন ওই ঘরে ছিলেন। তাদের মা নিলুফা ইয়াছমিন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলেন। হঠাৎ ওই ঘর থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনা গেলে আইরিন ঘরের পিছনের দরজা খুলে দেন কিন্তু সামনের দরজা খোলা ছিলো। দরজা খুলে দিয়ে আইরিন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আর নাসরিন পূর্ব থেকেই অচেতন অবস্থায় পড়েছিলো।


তাৎক্ষনিক তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জ বিসমিল্লাহ হসপিটালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে কুমিল্লা সিডি প্যাথ হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুইজনেরই চিকিৎসা চলে কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত ১টায় নাসরিন মারা যান।

ফেরদৌসি আক্তার আরো জানান, রাতেই কুমিল্লা থেকে নিহত নাসরিন ও আইরিনকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অপরদিকে ১২ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১১টায় ঘটনার খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ এ বিষয়ে বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলেছে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, নিহতের ঘটনাটি রহস্যজনক। স্থানীয়রা এটিকে ধর্ষণ বললেও এমন কোন আলামত পায়নি হসপিটালের পরীক্ষায়। তবে কুমিল্লা সিডি প্যাথ হসপিটালে নিহত নাসরিন হার্টস্টোক করে মারা গেছেন বলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ওসি আরো বলেন, সুরতহাল করে দেখা গেছে নিহত নাসরিনের গলায় দাগ রয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা আরো গভীরভাবে তদন্তর করার জন্য নাসরিনের লাশ বিকেলে চাঁদপুর মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

 

আরো পড়ুন: চাঁদপুর জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ও দ্বিতীয় স্ত্রী কারাগারে

চাঁদপুর সংবাদদাতা,০৭ জুন ২০১৮


চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকার কলেজ অধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা ফেন্সি খুনের ঘটনায় স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেন নিহত ফেন্সির ছোট ভাই ফোরকান উদ্দিন খান। মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন ফেন্সির সতিন জুলেখা বেগম (৩৪), দেবর খাইরুল ইসলাম নয়ন (৪৫) ও ননদ জানু বেগম (৪৮)।

চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ষোলঘর নিজ বাসভবনে মাথায় মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে খুন হন ফেন্সি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে আটক করেন। এরপর রাতেই শহরের নাজির পাড়া থেকে দ্বিতীয় আসামি জুলেখা বেগমকে আটক করে চাঁদপুরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক মহিউদ্দিন জানান, আটক প্রধান আসামি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি দুই আসামিকেও গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নিহত শাহিনা সুলতানা ফেন্সির তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement