২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১০০ জনকে দিয়ে ধর্ষণের হুমকি!

ধর্ষণের হুমকির কারণে শিশু সন্তানদেরকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অসহায় এই মা। - ছবি: নয়া দিগন্ত

একশ জনকে দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছেনে এক ইউপি সদস্য। এ হুমকির পর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অসহায় মনি আক্তার।

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ইউপি সদস্য ও তার পরিবার কতৃক মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গৃহবধূ মনি আক্তার। এই ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ।

থানাসত্রে জানা গেছে, শহরের পাইকপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া সালাউদ্দিন রহমান জীবনের স্ত্রী মনি আক্তার গত বুধবার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ইউপি সদস্য খলিল মেস্বারের বাড়িতে আহার করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে দুই শিশু সন্তানকে লাঠি- সোটা দিয়ে পেটায়। এছাড়া লোহার খুন্তি গরম করে শিশু সুমীর (৬) হাত-পায় এবং মারুফ (৮) এর হাতে ছ্যাকা দিয়ে গুরুতর জখম করেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে ৪ ঘন্টা আটকে রাখার পর তাদেরকে ছেড়ে দিলে রাতেই নির্যাতিতা মনি আক্তার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতনের স্বীকার মনি আক্তার অভিযুক্ত মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিচার দাবিতে ৩ দিন যাবত প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু কোন প্রতিকার না পাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠলে প্রশাসনের উর্ধবতন মহলের হস্তক্ষেপে মামলা নেয়া হয়।

এ ঘটনায় ইউপি সদস্য খলিল মেম্বারসহ তার তিন সহযোগীর বিরুদ্বে মামলা গ্রহণ করে স্থানীয় থান পুলিশ। মামলা করার পর থেকে অভিযুক্ত মেম্বার ও থানা পুলিশের হুমকীতে শিশু সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মনি আক্তার।

অভিযুক্ত খলিল মেম্বার ১শ জনকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি দিয়েছে উল্লেখ করে মনি আক্তার বলেন, শনিবার সকালে বন্দর বাজারের সামনে দারোগা শাখাওয়াত মেম্বারের বিরুদ্বে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে বলে তার সাথে মামলা করে পারবা না। বিপদে পড়ার ভয় দেখিয়ে দারোগা আরো বলেন, খলিল মেম্বার অনেক ক্ষমতাবান।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর কুতুবে আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। জানতে চাইলে অভিযুক্ত খলিল মেম্বার নির্যাতনের স্বীকার মা ও শিশুদেরকে মোবাইল চুরির কারণে জনসাধারণ মারধর করেছে। ওসি তদন্ত হারুনুর রশিদ বলেন, নির্যাতিতা মনি আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন: ঢাকার রাজপথ দখলের ক্ষমতা রয়েছে আওয়ামী লীগের’

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা, ০৪ অক্টোবর ২০১৮

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, সামনে কঠিন সময় আসছে। অনেক খেলা হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। লড়াই করতে হবে। এটা অস্ত্রের ও লাঠির লড়াই নয়, দেশ বাঁচানোর লড়াই। দেশের মানুষকে শান্তিতে বসবাস করার জন্য লড়াই করতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসদাইর বাংলা ভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে। ক্ষমতায় আসার দরকার দেশকে বাঁচানোর জন্য। এবার ক্ষমতায় আসতে না পারলে দেশের ৫ লাখ লোক মারা যাবে। ওরা আমাদের ঘর থেকে এনে মারবে। ওরা ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশকে আফগানিস্তান বানাবে। জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাবে। দেশকে বাঁচাতে হলে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

শামীম ওসমান আরো বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে। আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদেরকে জানান দিতে হবে আমরা দুর্বল না। এই জন্য আওয়ামী লীগের সাচ্চা নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। ঘরে ঘরে মিটিং করতে চাই। প্রত্যেকটি এলাকায় কাজ করতে চাই। আপনারা আমাকে এক এক এলাকায় নিয়ে যাবেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেবেন। আর এই কাজটি ২১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চাই। এরপর সংসদ বসবে। সেখানে থাকতে হবে। এরপর ২৭ অক্টোবর শনিবার বাংলাদেশকে জাগাতে চাই। এদিন সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশ করতে চাই।

সভায় শামীম ওসমানের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপি থেকে পাঁচ জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তারা হলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আতাউর রহমান প্রধান, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য সামসুল হক, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য বাতেন তালুকদার, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ইসলাম এবং ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ও একই ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার উদ্দিন।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে সভায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম চেঙ্গিস, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, শহিদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালি মাহমুদ, এইচ এম ইসহাক,বদিউল আলম বদু, সাবেক পৌর প্রশাসক মতিন প্রধান, কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাফায়েত আলম সানী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. শরীফুল হক, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আাইয়ুব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement