২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বালিয়াকান্দিতে ওয়েলকামপার্টির গডফাদার ও বিকাশ এজেন্টসহ ২জন গ্রেফতার

-

হ্যালো স্যার আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন, গ্রামীণ ফোনের লটারীতে আপনার একটি গাড়ী, ফ্লাট, নগদ টাকা পেয়েছেন। আপনি খুব সৌভাগ্যেবান ব্যাক্তি, তাই আপনাকে এ পুরস্কার নিতে হলে এখনই এ নম্বরটিতে বিকাশের মাধ্যমে দাবীকৃত টাকা দিন। কাউকে বললে সে আপনাকে নিষেধ করবে। আবার কখনোও গভীর রাতে সুমধুর নারী ও পুরুষ কন্ঠে নানা ধর্মীয় ও স্বর্ণালংকার পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। আবার নারীরা প্রেমের অভিনয় করে হাতিয়ে নেয় অর্থ। এভাবেই গ্রামীণ, টেলিটক, বাংলালিংক, রবি, ইয়ারটেলসহ বিভিন্ন ধরনের মোবাইলের সিম ব্যবহার করে প্রতারনা করে আসছে ওয়েলকামপার্টির সদস্যরা। এ পার্টির এক গডফাদার ও এক বিকাশ এজেন্টকে কুমিল্লার দাউদকান্দি ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে নারুয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে বাপ্পী আহম্মেদ ওরফে আক্কেল মেকার, বিলটাকাপোড়া গ্রামের আঃ করিম মন্ডলের ছেলে নারুয়া বাজারের বিকাশ এজেন্ট সাইফুল ইসলাম।
কুমিল্লা দাউদকান্দি থানার এস,আই লিটন দত্ত জানান, ওয়েলকামপার্টির সদস্যরা প্রতারনা করে আসছিল। এব্যাপারে এক প্রতারিত বাদী হয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সুত্র ধরে কুমিল্লার দাউদকান্দি ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে নারুয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে বাপ্পী আহম্মেদ ওরফে আক্কেল মেকার, বিলটাকাপোড়া গ্রামের আঃ করিম মন্ডলের ছেলে নারুয়া বাজারের বিকাশ এজেন্ট সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বাপ্পী আহম্মেদ তার মেকারের দোকানে বসে প্রায় ২শতাধিক ওয়েলকামপার্টির বিশাল বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতারনার টাকা তার মোবাইলে নেওয়ার পর বিকাশের দোকান থেকে উত্তোলন করে বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর, নারুয়া, বাকসাডাঙ্গী, মরাবিলা, মধুপুরসহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলোর প্রায় ২শতাধিক উঠতি বয়সী যুবকরা এ প্রতারনার কাজে জড়িত। অনেকের বাড়ীর দিকে তাকালেই বোঝা যায় তারা এ কাজে জড়িত। আগে বাড়ীতে কোন ঘর ছিল না, এখন বিল্ডিং, দামী মোটর সাইকেল, মোবাইলসহ নানা ভাবে ফুলে ফেপে উঠেছে। প্রশাসনকে নজরদারী বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল