২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদার জিয়ার জামিন শুনানি পেছালো

-

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যান পোড়ানো এবং চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে আটজন হত্যার পৃথক দুইটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পিছিয়েছে। বুধবার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যান পোড়ানো মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অধিকতর শুনানির জন্য আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। দীর্ঘ সময় ধরে খালেদার জামিন শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর শুনানির আবেদন করলে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজের বিচারক কে এম সামছুল আলম ১৩ সেপ্টেম্বর অধিকতর শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইজীবী কুমিল্লা কোর্টের পিপি এড. মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী এড. কাইমুল হক রিংকু।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এড. কাইমুল হক রিংকু বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যান পোড়ানো মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনে একাধিক শুনানি হয়েছে। বার বার অধিকতর শুনানি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হায়দারপুল নামক স্থানে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি সোমবার চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ২০ দলের স্থানীয় ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতায় হুকুমের অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে আটজন হত্যা মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পিছিয়েছে আদালত। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে হত্যা মামলাটির শুনানি শেষে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নং আমলী আদালতের বিচারক বিপ্লব দেবনাথ পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আটজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয়জন নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। ৭৭জন আসামির মধ্যে তিনজন মারা যান, পাঁচজনকে চার্জশিটকে থেকে বাদ দেয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অপর ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন চার্জশিট দাখিল করেন।


আরো সংবাদ



premium cement